নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের কানাইপুর গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকালে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের জেরধরে ফের বুধবার (৩০ এপ্রিল) সকালে দু’পক্ষ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মুখোমূখি অবস্থান। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ কামাল হোসেন পিপিএম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে কটোরভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
ফলে বড় ধরনের সংঘর্ষের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে গ্রামবাসী। এক পর্যায়ে ওসি মো. কামাল হোসেন পিপিএম উভয় পক্ষ, জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য মুরুব্বীয়ানদের নিয়ে বৈঠকে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে এলাকায় শান্তি আসবে না। শান্তিপূর্ণ অবস্থাই মুক্তির পথ।
তিনি স্থানীয় মুরুব্বীয়ানদের মাধ্যমে সামাজিকভাবে বিষয়টি সুরাহা করার জন্য গুরুত্বারোপ করেন। তিনি আরও বলেন, সামাজিকভাবে বিষয়টি সুরাহা না হলে আইনের আশ্রয় নিয়ে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিন্তু কোন ধরনের দাঙ্গা হাঙ্গামা বরাদাস্ত করা হবে না। কেউ মারামারিতে লিপ্ত হলে পুলিশ কটোরভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
উল্লেখ্য, উপজেলার সদর ইউনিয়নের কানাইপুর শান্তিনগর এলাকার বাহার মিয়ার ছেলে রুহুল আমীন ও একই গ্রামের রুশন মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়ার মধ্যে বাকী রিক্সাভাড়া ৫০ টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে উভয় পরিবারের মধ্যে রক্তক্ষয়ি সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রসহ ইটপাটকেল ব্যবহার করলে স্থানীয় লোকজন সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে ব্যর্থ হয়। প্রায় দু’ ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে উভয় পক্ষে মহিলাসহ অর্ধ শতাধিক লোকজন আহত হয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। সংঘর্ষে গুরুতর ৯ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। বাকী আহতদের উপজেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এর জেরধরে বুধবার সকালে উভয় পক্ষ হাকডাক দিয়ে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। পরে খবর পেয়ে স্থাণীয় লোকদের সহায়তায় ওসি মো. কামাল হোসেন পিপিএম এর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। ওসি এর হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত উভয় পক্ষ ও গ্রামবাসী বড় ধরনের সংঘর্ষ থেকে রক্ষা পেয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে।