গাজীপুরের কালিয়াকৈরে পুর্বপরিকল্পিতভাবে চাচা-চাচীর নেতৃত্বে ভাতিজা ও তার স্ত্রীকে এলোপাথারী কুপিয়ে গুরুত্বর জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত তারা স্বামী-স্ত্রী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।আহতরা হলেন, কালিয়াকৈর উপজেলার ঢালজোড়া ইউনিয়নের বেনুপুর এলাকার মৃত হারান আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী হনুফা বেগম।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার বেনুপুর এলাকার জহিরুল ইসলামের সঙ্গে তার চাচা আবুল হোসেন গংদের দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে পুর্বপরিকল্পিতভাবে চাচা আবুল হোসেন ও চাচী হালিমা বেগমের নেতৃত্বে ৪/৫ জন কুড়াল, চাপাতিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ভাতিজা জহিরুলের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলা চালিয়ে জহিরুল ও তার স্ত্রী হনুফাকে এলোপাথারি কুপিয়ে গুরুতর জখমসহ ঘরের ভেতরে থাকা আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর করেন। এসময় নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ৮ লক্ষ টাকার মালামাল লুটপাট করে হামলাকারীরা।
তাদের ডাকচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে খুন-জখমের হুমকি দিয়ে হামলাকারীরা চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে অবস্থা আশংকাজনক হলে কতব্যরত চিকিৎসক তাদের অন্যত্র রেফার্ড করেন। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আহতের মামা আলমাস হোসেন বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত আবুল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তবে অপর অভিযুক্ত ও তার স্ত্রী হালিমা বেগম জানান, ভাতিজা মাদককাসক্ত। সে কারো কথা শুনে না। এ নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে।
এব্যাপারে কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আজিজুল ইসলাম জানান, অভিযোগের কপি এখনো হাতে পাইনি। তবে অভিযোগের কপি হাতে পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।