লোহাগড়ায় পৌরসভার রাস্তা দখল করে ভবন নির্মাণ
প্রকাশ | ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:০৩

নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীপাশা এলাকায় পৌরসভার রাস্তার ওপর নির্মিত ইটের হেজিং তুলে ফেলে একটি বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ওসমান শেখের বিরুদ্ধে।
অভিযুক্ত ওসমান শেখ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর এলাকার বাসিন্দা। সম্প্রতি তিনি লক্ষ্মীপাশা এলাকায় জমি কিনে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৪-৫ বছর আগে লোহাগড়া পৌরসভার অর্থায়নে ওই রাস্তা নির্মাণ করা হয়। রাস্তার সংরক্ষণের জন্য নির্মাণ করা হয় ইটের হেজিং। সম্প্রতি ওসমান শেখ সৈয়দ আবুল বাসারের কাছ থেকে জমি ক্রয় করে ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নেন। ভবন নির্মাণের জন্য তিনি পৌরসভার রাস্তার হেজিং ভেঙে ফেলেন। এ নিয়ে জমির মালিক সৈয়দ আবুল বাসারের সাথে ওসমান শেখের মত বিরোধ চলে আসছে। এখানেই শেষ নয়, মানুষের চলাচলের রাস্তা খুঁড়ে ভবন নির্মাণ করায় জমির মালিক লোহাগড়া পৌর সভায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে লোহাগড়া পৌরসভার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে সরেজমিন পরিদর্শন করে ওসমান শেখকে ভবন
নির্মাণের কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
পরে ওসমান শেখ সেনাবাহিনীর নিকট অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে নড়াইল সেনা ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো: মিলু শরীফকে বিষয়টি তদন্ত ও সমাধানের দায়িত্ব দেন।
সাবেক কাউন্সিলর ও লোহাগড়া পৌর বিএনপির সভাপতি মো: মিলু শরীফ সরেজমিন তদন্ত করে জানান, 'ওসমান শেখ রাস্তার ওপরেই ভবন নির্মাণের চেষ্টা করছেন। আপাতত: কাজ বন্ধ থাকবে'।
এ নির্দেশনার পরও গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) পৌরসভা কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ওসমান শেখ আবারও লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এ সময় জমির মালিক সৈয়দ আবুল বাসার নির্মাণ কাজ থেকে বিরত থাকতে বললে অভিযুক্ত ওসমান শেখ জমির মালিক সৈয়দ আবুল বাসার ও তার স্ত্রীকে
হুমকি ধামকি দেয় বলে সৈয়দ আবুল বাসারের অভিযোগ।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওসমান শেখ গণমাধ্যমকর্মী সাথে কোন কথা না বলে কৌশলে ঘটনাটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের সাধারণ মানুষের ভাষ্য, রাস্তার ওপর বহুতল ভবন নির্মাণ হলে জনসাধারণের চলাচলে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হবে। মানুষের চলাচল বিঘ্নিত হবে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগীরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষের আশু সহযোগিতা কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে লোহাগড়া পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিঠুন মৈত্র বলেন, ' বিবাদমান দুটি পক্ষকে ডেকে সৃষ্ট বিষয়ের সমাধান করা হবে।