কুমিল্লার লাকসামের দুই শিশু শিক্ষার্থী জিহাদ ও শাব্বিরের অবশেষে খোঁজ মিলেছে। তবে জীবিত নয়, মৃত। দুই বন্ধু জিহাদ ও শাব্বির একসঙ্গে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার এক দিন পর তাদের মরদেহের সন্ধান মিলেছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ভোরে পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গুনতি গ্রামের একটি পুকুর থেকে ওই দুই শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত দুই শিশু হলো- ওই গ্রামের পূর্বপাড়ার রুবেল হোসেনের ছেলে জিহাদ হোসেন (৭) এবং মোহাম্মদ আলীর ছেলে শাব্বির হোসেন মহিন (১০)। নিহত ওই দুই শিশু স্থানীয় গুনতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো।
এলাকাবাসী ও নিহত শিশুদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আগেরদিন সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরের পর থেকেই তারা নিখোঁজ। পরিবারের লোকজন মনে করছেন ওই দুই শিশু খেলাধুলা করতে বাড়ি থেকে বের হয়েছে। কিন্তু বিকেল গড়িয়ে সন্ধার পরও বাড়ি ফিরে না আসায় স্বজনরা চিন্তিত হয়ে পড়েন এবং খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি, ও আশপাশের এলাকার বিভিন্ন স্থানে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাদের কোনো সন্ধান মিলেনি। অবশেষে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ভোর পৌনে ৬ টার দিকে স্থানীয় এক ব্যক্তি হঠাৎ বাড়ির পাশেই একটি পুকুরে একজনের মরদেহ ভাসতে দেখে চিৎকার দেন। পরে শিশুদের স্বজন ও এলাকার লোকজন এসে ওই পুকুর থেকে দুই শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করেন।
নিহত ওই দুই শিশুর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তাদের স্বজনদের আহাজারিতে বাতাস যেনো ভারি হয়ে উঠেছে। দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এই ব্যাপারে লাকসাম থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা (ডিউটি অফিসার) সহকারী উপ-পরিদর্শক চুমকি বড়ুয়া পুকুর থেকে দুই শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।