‘মিমাংসা আদালতে হবে’ বলাতে মারধর করলো বিএনপি নেতাকর্মীরা

প্রকাশ | ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:৫৭

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

ঢাকার কেরানীগঞ্জে অবৈধভাবে দখল হওয়া জমি নিয়ে শালিসি বৈঠকে "এইখানে শমশের মিয়ার বিচার চূড়ান্ত মিমাংসা নাহলে, আদালতের মাধ্যমে মিমাংসা চূড়ান্তভাবে হবে।" -এমন মন্তব্য করায় অ্যাডভোকেট সেলিম রেজাকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কোন্ডা ইউনিয়নের বাক্তার চর শহিদুল্লাহ ল হাউজ প্রাঙ্গণে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন অ্যাডভোকেট সেলিম রেজা। তিনি এরআগে শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ে করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সেলিম রেজা জানান, 'গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে মো. শমসের মিয়ার অবৈধভাবে দখল হওয়া জমি নিয়ে মুরুব্বি সমাজসহ শালিশ বসে। সেখানে একজন মেজর উপস্থিতিতে আমি নিজে জজ কোর্টের আইনজীবী ও অন্য এক বিজ্ঞ আইনজীবী অনেক অনুরোধে বিচারে উপস্থিত হই। যাহাতে দুই পক্ষ মিমাংসায় আসতে পারে। "যদি শান্তিপূর্ণ মিমাংসা না হয় তবে আদালতের মাধ্যমে মিমাংসা চূড়ান্ত হবে" -এই ছিল আমার ও বিজ্ঞ আইনজীবীর মন্তব্য।

কিন্তু বিজ্ঞ আইনজীবী স্যার ভীত হয়ে চুপ ছিলেন। হঠাৎ আমার উপর বিএনপি নেতা মির জুমলা ও রেকমত আলীর ছেলে মনির হোসেন উপোর্যুপারি লাথি কিলঘুষিসহ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। এসময় বিএনপি আরেক নেতা রুস্তমের ছেলে মুজা মিয়া আমাকে কিলঘুষি মারতে থাকে।' এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমি তখন বলি থানায় মামলা করবো। মির জুমলা তখন আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ক্রমাগত। সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, 'বৈঠকে আমার কোনো দোষ ছিলো না। সেনাবাহিনী একজন মেজর ও স্থানীয় উপস্থিত মুরুব্বি সমাজ শুনেছে, যে আমি এটুকু বলেছি, যদি "এইখানে শমশের মিয়ার বিচার চূড়ান্ত মিমাংসা

নাহলে, আদালতের মাধ্যমে মিমাংসা চূড়ান্তভাবে হবে।" আমি আইনজীবী হয়ে সৎভাবে উকালতি পেশা চালিয়ে যাচ্ছি। একজন আইনজীবী হয়ে নিজের জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি৷ আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও স্থানীয় জনপ্রশাসনের কাছে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ মাধ্যমে সুষ্ঠু বিচার চাই।

এসময় সংবাদ সম্মেলনে তার ছোট ভাই সুমন, মা কুলসুম বেগমসহ একজন আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। 'অভিযুক্ত মির জুমলা ও মনির হোসেন মুঠোফোনে জানান, বিচারে কয়েকশো মানুষ সেসময় উপস্থিত ছিলেন। এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। সেলিম রেজাকে মারধরের অভিযোগে বিষয়টি মিথ্যা বানোয়াট।'

দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, ‘এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শীঘ্রই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

যাযাদি/ এসএম