কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের নবী (সা.)-কে অবমাননার অভিযোগে সাময়িক বহিষ্কারকৃত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী স্বপ্নীল মুখার্জির স্থায়ী বহিষ্কার এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেছেন একদল শিক্ষার্থী।
রোববার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে রেজিস্ট্রার বরাবর এই স্মারকলিপি জমা দেন তারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত ১৬ মে ২০২৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্বপ্নীলকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছিল। একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হলেও স্বপ্নীল তার কার্যকলাপের জন্য কোনো ব্যাখ্যা বা ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। এ প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা তার স্থায়ী বহিষ্কার এবং রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা দায়েরের দাবি জানাচ্ছি।
আরো বলা হয়, স্বপ্নীলকে কিছু শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠন আশ্রয় ও মদদ দিয়েছেন। স্মারকলিপিতে এসব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে যথোপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
এ নিয়ে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. মোরশেদ আলম বলেন, স্বপ্নীল মুখার্জি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার পরও কোনো অনুশোচনা প্রকাশ করেনি বা ক্ষমা চায়নি। বিগত সময়ে আমরা প্রশাসনের কাছে তার স্থায়ী বহিষ্কার এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন দৃশ্যত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
তিনি আরো বলেন, আজ আমরা পুনরায় প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছি, স্বপ্নীল মুখার্জিকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা, তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া এবং যারা তাকে সহযোগিতা করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও তদন্তের মাধ্যমে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য।
এনিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, খতিয়ে দেখতে হবে আসলে কি হয়েছিল।বিষয়টি কি সেটা সবকিছু বিবেচনা তারপর সিদ্ধান্ত নিব।
উল্লেখ্য, গতবছরের ১৫ মে স্বপ্নীলের বিরুদ্ধে ইসলাম ধর্ম অবমাননার অভিযোগের প্রেক্ষিতে পরদিন ১৬ মে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
যাযাদি/ এসএম