কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর, নিকলী, কুলিয়ারচর, অষ্টগ্রাম, মিঠামইন ও ইটনা উপজেলার হাওর গুলোতে লক্ষ একর কৃষি জমিতে ইরি বোরো, বিআর- ২৮, বিআর- ২৯ সহ বিভিন্ন জাতের ধান পাকার পর কৃষক ধানকাটা শুরু করেছে বৈশাখ মাসের প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকে। ধান কাটা শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পর্যন্ত হাওরের কৃষকরা জমি থেকে কাঁচাধান প্রতি মন ১ হাজার টাকা থেকে ১২ শত টাকা বিক্রি করে বিভিন্ন পাইকারী ব্যবসায়ীদের নিকট।
বর্তমানে একই ধান কৃষক মন প্রতি ৭৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি করার কারণে কৃষকদের মাঝে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। কৃষক বর্তমানে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বলে জানা গেছে। কৃষকরা জানায়, এক একর ধানের জমি ধান ফলাতে এন্ট্রি ফিস থেকে শুরু করে ধান কাটা পর্যন্ত একজন কৃষকের ৩০ হাজার টাকা থেকে ৩৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়। এর মধ্যে অধিকাংশ কৃষক কৃষি জমি তৈরি থেকে শুরু করে ধান উঠানো পর্যন্ত মধ্যস্বত্ব ভোগিদের নিকট থেকে চড়া সুদে টাকা এনে জমির অর্ধেক ধান তাদেরকে দিতে হয়। এর ফলে গোয়াল ভরা গরু আর গোলা ভরা ধান কৃষকের এখন সেই সময় নেই।
তাদের গোলায় এখন অর্ধেক খালি থাকে মধ্যস্বত্ব ভোগিদের ঋণ পরিশোধ করতে গিয়ে। তবুও হাওরের কৃষকরা এসব সুদকে তারা কিছুই মনে করে না কারণ, ধান তাদের ঘরে থাকলে নুন দিয়ে তো কোনো রকমভাবে খেয়ে বাঁচতে পারে।
গতকাল হুমাইপুর, আয়নারগোপ, বাহেরবালী, মাইজচর হাওরে গেলে কৃষকরা বলেন, আগে তো হাওরের মধ্যে বড় বড় নেতারা এসে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি দেখিয়ে চাঁদা নিতো। এখন এইডা থাইকা রক্ষা পাইছি। বাজিতপুর কৃষি কর্মকর্তা বলেন, এবার হাওরে ইরি বোরো ধান বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
যাযাদি/ এম