নাটোরে রাজকীয় পরিবহনের ৫টি রুটে বাস চলাচলে বাঁধা দেয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে পাল্টাপাল্টি মানববন্ধন করেছেন বিএনপি ও আওয়ামীলীগ সমর্থিত বাস শ্রমিকরা।
শনিবার বিকেলে ও সন্ধায় শহরের ভবানীগঞ্জ মোড় ও হরিশপুর বাস টার্মিনালে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত বাস শ্রমিকদের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত রাজকীয় পরিবহনের বাস চলাচলে বাঁধা দেয়া ও বড় হরিশপুর বাস টার্মিনালে তাদের কাউন্টারে হামলা ভাংচুরের অভিযোগে শহরের ভবানীগঞ্জ মোড়ের নিজেদের অফিসের সামনে মানববন্ধন করে রাজকীয় পরিবহনের শতাধিক মালিক ও শ্রমিকেরা।
এ সময় রাজকীয় পরিবহনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মশিউর রহমান বলেন, নাটোরের আর পি পরিবহনের মালিক মোঃ মানিক, মোঃ হানিফ, মোঃ মনির ও মোঃ মুক্তার হোসেন নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদের ভাই। তারা আসাদের প্রভাবে রাজকীয় পরিবহনের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির অফিসে আপোষ বৈঠক বসলেও কোন সুরাহা হয়নি। একদল শ্রমিক এ সময় শহরের বড় হরিশপুর বাস টার্মিনালে রাজকীয় পরিবহনের কাউন্টারের লোকজনকে বের করে দিয়ে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
এ বিষয়ে তারা নাটোর থানায় ও সেনা ক্যাম্পে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আসাদের প্রভাবে ভাংচুর করার অভিযোগ করা হলেও এসব বিষয়ে আসাদ জড়িত নয় বলে মশিউর রহমান স্বীকার করেন।
অন্যদিকে সন্ধ্যার পর শহরের বড় হরিশপুর বাস টার্মিনালে আর পি পরিবহনের পক্ষ থেকে মানববন্ধন করা হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন, নাটোর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান শাহিন ও সাইফুল ইসলাম আফতাব এবং আর পি পরিবহনের মালিক মুক্তার হোসেন।
এ সময় বলা হয়, রাজকীয় পরিবহনের মালিক মজিবুর রহমান আওয়ামী লীগ নেতা। সাধারণ একজন বাস মাস্টার থেকে আওয়ামী লীগের ১৫বছরে তিনি ৩০টি বাসের মালিক বনেছেন। তাদের হামলায় বিএনপি পন্থী বহু বাস মালিক শ্রমিক আহত হয়েছে। সেসব ঘটনায় মামলা হলেও আজ পর্যন্ত পুলিশ মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করেনি। তারা অবিলম্বে রাজকীয় বাসের মালিক মুজিবুর রহমানকে গ্রেফতার করার দাবী জানান। নাটোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, বাস টার্মিনালের কোন বিষয়ে তিনি কোন ভাবেই জড়িত নন।
যাযাদি/ এম