বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড রুপদন গ্রামের প্রয়াত শিক্ষক ক্ষিতীশ চন্দ্র মন্ডল এর বসত বাড়িসহ প্রাই ৩ শত শতাংশ জমি মুক্তিযোদ্ধার প্রভাব খাটিয়ে একই বংশের প্রয়াত দেবেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে মনি মন্ডল ভোগ দখল করে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় ২৬ এপ্রিল শনিবার ভুক্তভোগী ক্ষিতীশ চন্দ্র মন্ডলের স্ত্রী শোভারানী মন্ডল পাথরঘাটা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
এ সময় শোভারানী মন্ডলের ভাসুরের ছেলে কলিংঙ্গ মন্ডল ও প্রতিবেশী ওহিদ মেলকার এবং কাকচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ ফরহাদ হোসেন ফুয়াদ সাথে ছিলেন।
বরগুনা জেলাধীন পাথরঘাটা উপজেলার কাকচিড়া ইউনিয়নের রূপধন মৌজায় এস এ ১১৩১, ১১৩৩, ১১১৯, ১৯২৪, ১১২৭, ১১৩০, ১১২০, ১১২১, ১১৩২, ১১৩৪, ১১৪৫,১১৩৬, ১১৩৭, ১১৩৮,১১৩৯, ১১৪০, ১১৪২, ১১৪৩ খতিয়ানের ২৯.৮৭ একর জমি একই বংশের প্রয়াত দেবেন্দ্রনাথ মন্ডলের ছেলে মনি মন্ডল মুক্তিযোদ্ধার প্রভাব খাটিয়া দখল করে আসছে।
শোভা রাণী মন্ডল বলেন আমি নারী মানুষ জমি ফিরে পাওয়ার জন্য ২০১২ সালে বরগুনা জজকোর্টে মামলা দায়ের করলে ২০১৭ সালে আদালত আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন।
আদালতের রায়ের পরেও মনি মন্ডলের হাত থেকে জমি উদ্ধার করতে ব্যর্থ হওয়ায় বাধ্য হয়ে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করলে কাকচিড়া ইউনিয়ন বিএনপি'র আহবায়ক নাসির উদ্দিন সিকদার, রায়হানপুর ইউনিয়ন বিএনপি'র আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ (গদি কালাম) কাকচিড়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ হোসেন ফুয়াদ, সদস্য সচিব সেলিম পহলান, সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সার্ভেয়ার নিয়ে সালিশ করে রোয়েদাদ প্রদান করে জমি মেপে পিলার পুতে দিলেও আইন কানুন সালিশ মীমাংসার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মনি মন্ডল জোর করে জমি দখল করে আসছে। শোভারানী মন্ডল বলেন মনি মন্ডল আমাকে হত্যা করার জন্য বহুবার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন ১ মার্চ ২৫ সন্ধ্যায় আমি বাড়ি ঢোকার সময় মনি মন্ডল বৈদ্যুতিক ডিভাইস দিয়ে শর্ট সার্কিট করে আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করে।
পরে আমার ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী আমাকে উদ্ধার করে পাথরঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন আমি ওইদিনই মনি মন্ডল ও তার স্ত্রী এবং তার ছেলের বিরুদ্ধে পাথরঘাটা থানায় সাধারণ ডায়েরি করি যার নং ১৯ শোভারানী মন্ডল বলেন আমি বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি তিনি বলেন আমার জমি উদ্ধারসহ আমার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এব্যাপারে অভিযুক্ত মনিমন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন সালিশ রোয়েদাদে আমার স্বাক্ষর থাকলেও কাগজ পত্র সংগ্রহ করার জন্য আমি একমাস সময় চেয়েছিলাম কিন্তু তারা আমাকে সময় না দিয়ে একতরফা রোয়েদাদ প্রদান করেছে।
তিনি উল্টো শোভারানী মন্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন দীর্ঘ বছরের সীমানা পিলার উপড়ে ফেলার জন্য আমি শোভারানী মন্ডল গংদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
যাযাদি/ এম