জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে নিখোঁজের ৯ দিন পর অবশেষে শনিবার ২৬ এপ্রিল দুপুরের দিকে শহলাপাড়া গ্রামে ভিতরগাড়ি নামক পুকুরের পাড় থেকে তৃতীয় শ্রেণির স্কুলছাত্র কাফি খন্দকারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শিশুটিকে হত্যা করে তার লাশ পুকুর পাড়ের ঝোপঝারের মধ্যে ফেলে রেখে যায়। নিহত শিশু ক্ষেতলাল উপজেলার শহলাপাড়া গ্রামের সঞ্চয় খন্দকারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, প্রতিদিনের মতো গত ১৮ এপ্রিল বিকেলে বাড়ির পাশে অন্যান্য শিশুদের সাথে খেলা করছিলো কাফি খন্দকার। সেদিন সন্ধ্যার আগে অন্য শিশুরা বাড়ি ফিরলেও সে বাড়ি ফিরেনি। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুজি করে একমাত্র ছেলের কোন সন্ধান না পেয়ে পাগলপ্রায় হয়ে যায় তার মা বাবা।
শনিবার দুপুরের দিকে শহলাপাড়া গ্রামে একটি পুকুর পাড়ে তার অর্ধগলিত মরদেহ দেখতে পান ওই গ্রামের মশিউর রহমান কলমের স্ত্রী হাবিবা। পুলিশকে খবর দিলে সেখান থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় পুলিশ ওই গ্রামের মহিদুল ইসলাম (৪৫), বাবু খন্দকার (৫৫),ফরিদ খন্দকার (৬৫) কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যন।
ক্ষেতলাল থানার অফিসার ইনচার্জ শ্রী দীপেন্দ্র সিংহ বলেন, শিশুটির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে ,ময়নাতন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করা হয়।