গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, আওয়ামী লীগ ভারতের এক্সটেনশন এজেন্ট। ভারতের একটা দাস। ভারতের গোলামী করা একটি রাজনৈতিক দল। ২৪ গণ অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের ঠিকানা আর বাংলাদেশে হবে না। পৃথিবীতে এই ধরনের জঘন্য গণহত্যা এবং বর্বরতার পরে কোন রাজনৈতিক দল আর রাজনীতি করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ আর এই দেশে রাজনীতি করতে পারবে না। আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা নিরিহ বেহায়ার মত বলেছে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক নাকি স্বামী স্ত্রীর মত সম্পর্ক। এই নিলজ্জ বেহারাই ভারতে গিয়ে নাম পরিবর্তন করেছে মুসলমান থেকে হিন্দুর নাম দিয়েছে বাঁচার জন্য। প্রতিবেশী রাষ্ট্র হিসেবে আমরা চাই ভারতের সাথে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক একটি ন্যায্যতার সম্পর্ক কোন গোলামীর সম্পর্ক নয়। তিনি শনিবার দুপুরে পঞ্চগড় শেরে বাংলা পার্কের মুক্তমঞ্চে গণ অধিকার পরিষদ পঞ্চগড় শাখার আয়োজনে এক গণসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
ভিপি নুর বলেন, শুভেন্দু সহ ভারতের কিছু নেতা বলে বাংলাদেশকে দখল করে নিবে। আমরা বলি বাংলাদেশের সাথে লাগতে আইসেন না টিকতে পারবেন না। ভারতই তো অন্য দিকে দখল হয়ে যাচ্ছে। একদিকে পাকিস্তান অন্যদিকে চীন গুতা দিচ্ছে। তাদের সামলাতে জান শেষ হয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ গুতা দিলে ত্রিমুখী গুতায় টিকতে পারবেন না। গণঅভ্যুত্থানে শুধু আওয়ামী লীগ ফ্যাসিস্টের পতন ঘটায়নি ছাত্র জনতা ভারতের আধিপত্যবাদ উচ্ছেদ করেছে। আওয়ামী লীগ ছিলো ভারতের দাস।
তিনি আরো বলেন, পাঁচ আগষ্টের পরেও টেম্পু স্ট্যান্ড, বাস স্ট্যান্ড, কাঁচা বাজারে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়নি। এখনো অবাধে চলছে। গণঅভ্যুত্থানের পরেও আওয়ামী লীগের মতো দখলবাজি চাঁদাবাজি বন্ধ হয় নি। সাধারণ মানুষের রক্তচোষাদের উপস্থিতি এখনো আছে। তাদের বলতে চাই ভোট কিন্তু এখনো আসেনি। মানুষ ভোটে এর জবাব দেবে। সুযোগ পেলে সার্বজনীন স্বাস্থ সেবা নিশ্চিত করা, বন্ধ চিনিকল চালু করা ও তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ নানা উদ্যোগের কথা বলেন।
গণ অধিকার পরিষদ পঞ্চগড়ের আহ্বায়ক মাহফুজার রহমানের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান নুর আসাদ, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য হানিফ খান সজিব, গণঅধিকার পরিষদ রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মুন্নাফ প্রমুখ।
যাযাদি/ এম