শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

ফেসবুকে সাংবাদিকদের কটাক্ষ করা জাফরীকে গ্রেপ্তারে পুলিশের নিরব ভূমিকা!

লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
  ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:২৯
ফেসবুকে সাংবাদিকদের কটাক্ষ করা জাফরীকে গ্রেপ্তারে পুলিশের নিরব ভূমিকা!
ছবি: যায়যায়দিন

কুমিল্লার লাকসামে মাদ্রাসা ছাত্রী সামিয়ার রহস্যজনক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে অনুসন্ধানী সংবাদকর্মীদের লক্ষ্য করে লাগাতার অশালীন, অশোভন ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের জেরে মানববন্ধন কর্মসূচীতে ঘোষিত ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম শেষ হলেও ভন্ড মঈনুল ইসলাম জাফরীকে অজ্ঞাত কারণে পুলিশ গ্রেফতার করছেনা।

২৫ এপ্রিল (শুক্রবার) ওই আল্টিমেটামের সময় শেষ হয়েছে। আল্টিমেটামের সময়কে তোয়াক্কা না করে জাফরীকে গ্রেফতারের কোন উদ্যোগও নেয়নি লাকসাম থানা পুলিশ। পুলিশের এমন গড়িমসি এবং জাফরীর খুঁটির জোর কোথায় জানতে চায় সাধারণ মানুষ।

মঈনুল ইসলাম জাফরী নামে এক ব‍্যক্তি সাংবাদিক ও সুশীলদেরকে উদ্দেশ্যে করে ফেসবুকে লেখেন "কলেজ ইউনিভার্সিটির ডাস্টবিন থেকে বেঁচে যাওয়া নবজাতক গুলো বড় হয়ে সাংবাদিক হয় নতুবা সুশীল নামক কুলাঙ্গার হয়" ফেসবুকে এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে গত ২৪ এপ্রিল সকাল ১০টায় লাকসাম তথা দক্ষিণ কুমিল্লার সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

ওই বিক্ষোভ সমাবেশে ইক্বরা মহিলা মাদ্রাসার পরিচালক আজিজুল ইসলামের জামাতা মঈনুল ইসলাম জাফরীকে ২৪ ঘন্টা মধ‍্যে গ্রেফতারের সময় বেধে দেয়া হয়। সাংবাদিকদের সংগঠন লাকসাম প্রেস ক্লাব ও লাকসাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃত্বে সকল গণমাধ্যমকর্মী ২৫ এপ্রিল (শুক্রবার) রাতে লাকসাম থানায় বিষয়টির অগ্রগতি জানতে গেলে পুলিশের গাফিলতি দেখতে পেয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যাক্ত করেন। অনতিবিলম্বে অপরাধীকে গ্রেফতার না করলে কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন সাংবাদিকরা।

এসময় লাকসাম থানার অফিসার ইনচার্জ নাজনীন সুলতানা, ওসি তদন্ত আনোয়ার হোসেন বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে দায়সারা বক্তব্য প্রদান করেন। সংবাদকর্মীরা সামিয়া মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের অগ্রগতি জানতে চাইলে পুলিশ কর্তৃপক্ষ কাজের সিংহভাগ এগিয়েছে বলেও জানান।

উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) কুমিল্লার লাকসাম পৌরসভার ইক্বরা মাদ্রাসার পাঁচতলা ভবনের জানালার ফাঁক দিয়ে পড়ে সামিয়া নামক এক শিক্ষার্থীর (১৩) মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে লাকসামের ইক্বরা মহিলা মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ। বিপরীতে সামিয়ার মা, দাদা ও মামা ওই দাবি প্রত্যাখ্যান করে এটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।

ওই রহস্যজনক মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের উপর চড়াও হয়ে মাদ্রাসা প্রধান জামাল উদ্দিন এবং মাদ্রাসার পরিচালক আজিজুল ইসলামের জামাতা মঈনুল ইসলাম জাফরী সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের অশালীন ও কটুক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট করে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদে ফুঁসে উঠে সাংবাদিক ও সুশীল সমাজসহ সর্বস্তরের শ্রেণি-পেশার মানুষ।

যাাযদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে