রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে এলোপাতাড়ি কোপ খেয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হওয়া প্রবাসী আল আমিনের (২৩) মরদেহ উদ্ধার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানার কাজিরহাট নৌ-পুলিশ।
জানা গেছে, আল আমিন পাবনা জেলার আমিনপুর থানার ঢালারচর ইউনিয়নের রামনারায়নপুর গ্রামের আবু বক্কর মন্ডলের ছেলে।
গতকাল শুক্রবার দুপুর আড়াইটার সময় গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের রাখালগাছি সিএন্ডবি রাস্তার মাথায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আল আমিন প্রায় ৭ বছর যাবৎ মালয়েশিয়ায় কর্মরত ছিলে। ৪ মাস হলো বাড়িতে ছুটিতে এসেছেন। গত ১৫/১৬ দিন আগে শাহ আলী তার কাছে ৩ হাজার টাকা দাবি করেন চা খাওয়ার জন্য। আল আমিন টাকা না দেওয়ায় তাকে মোবাইলে গালিগালাজ করেন এবং তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার সময় পাবনা জেলার আমিনপুর থানার ঢালারচর ইউনিয়নের আল আমিন, তার মামা লিটন, বোন আকলিমাসহ ঢালার চর গ্রামের খৈয়মের মেয়েকে দেখতে আসেন। দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষে ফুফাতো ভগ্নিপতি মেগা সরদারকে সঙ্গে নিয়ে আল আমিন মোটরসাইকেলযোগে রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দঘাট থানার দেবগ্রাম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের রাখালগাছি বাজারে যান।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে শাহ আলি, রবিউল, ঠান্ডু, জুয়েল ফকির, সেলিমসহ ৭-৮ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি ৪ টি মোটর সাইকেলযোগে আল আমিনের পিছু পিছু এসে রাখালগাছি বাজারের রাস্তার মাথায় পথ রোধ করেন।
এ সময় আল আমিনকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করলে প্রাণে বাঁচার জন্য পার্শ্ববর্তী পদ্মার শাখা নদীতে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরে ওঠার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। তিনি নদীর পানিতে ডুবে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের বিষয়টি পাবনার আমিনপুর গোয়ালন্দ ঘাট থানা অবগত হলে গোয়ালন্দ ঘাট থানা ও কাজিরহাট নৌ পুলিশ স্পিড বোড ও ডুবুরি নিয়ে অনেক খোঁজাখুজি করে তাকে।
এদিকে আজ শনিবার দুপুরে তার মরদেহ রাখালগাছি খেয়াঘাটের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়।
গোয়ালন্দঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, শনিবার দুপুরে তার মরদেহ রাখালগাছি খেয়াঘাটের পাশে নদী থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।