ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় শেফালী বেগম (৫০) নামের এক বৃদ্ধ নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে সাবেক ইউপি মেম্বার। সপ্তাহব্যাপী অভিযান শেষে তাকে আটক করে আজ শনিবার সদরপুর থানা পুলিশ ওই ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি মমরেজ খালাসী(৫০) কে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আলোচিত এ ঘটনায় গত শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে র্যাব-১০ তাকে আটক করে সদরপুর থানায় প্রেরণ করে। ধর্ষন ও হত্যাকারী মমরেজ খালাসী সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ও খালাসী ডাঙ্গী গ্রামের মৃত লাল মিয়া খালাসীর পুত্র।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, গত ১৯শে এপ্রিল রাত ১১টার দিকে খালাসী ডাঙ্গী গ্রামের মোমরেজ খালাসী ও তার দুই সহযোগী রাতে শেফালীর বাড়িতে গিয়ে তার ঘরে আড্ডা দেয়। সর্ম্পকে শেফালী বেগম ওই মেম্বারের চাচাতো ভাবী। তাদের মধ্যে মধ্যে পরক্রীয়া ছিলো বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। আড্ডার এক পর্যায়ে শেফালী রাত ১১টার দিকে ঘরের বাইরে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি ভিটায় তাকে ধর্ষন করলে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। ওই অবস্থায় তাকে বাড়ির পাশে রেখে পালিয়ে যাওয়ার সময় ওই নারীর ভাগ্নি মমরেজ কে দেখে ফেলে। অসুস্থ্য অবস্থায় ওই নারীকে সদরপুর উপজেলার বিশ্ব জাকের মঞ্জিল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে ২০এপ্রিল রাত আড়াইটার দিকে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করে।
এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে সদরপুর থানায় মমরেজ কে প্রধান আসামী করে ধর্ষন ও হত্যা মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার পর থেকে ওই ইউপি সদস্য পলাতক ছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান বলেন, ধর্ষন ও হত্যা মামলার প্রধান আসামী মমরেজ খালাসীকে আটক করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
যাযাদি/ এসএম