শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

বড়হাতিয়া এশাআতুল উলুম মাদ্রাসার পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত আবু তোরাব 

আবদুল জব্বার ফিরোজ, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:২৪
বড়হাতিয়া এশাআতুল উলুম মাদ্রাসার পুনরায় সভাপতি নির্বাচিত আবু তোরাব 
ছবি: সংগৃহীত

আবু তোরাব মোহাম্মদ হোসাইন পুনরায় বড়হাতিয়া এশাআতুল উলুম ফাযিল মাদ্রাসার সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন । ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর এর অনুমোদনক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয়ের বিগত ৯ এপ্রিলে স্বাক্ষরিত ১৪৮৩৬ নং স্বারক মূলে এটি অনুমোদিত হয়।

আবু তোরাব মোহাম্মদ হোসাইন একজন উচ্চ শিক্ষিত নিষ্ঠাবান সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, বিনয়ী ও দক্ষ প্রশাসক। তাঁর নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা ও মানবিক মূল্যবোধ এলাকাবাসীর নিকট প্রশংসিত ও আস্থার প্রতীক তিনি।

পুনরায় তিনি মাদ্রাসার সভাপতি মনোনীত হওয়ার খবর প্রকাশ পেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, ফেসবুকে তাঁর প্রশংসা ও ফুলেল শুভেচ্ছায় মেতে উঠে নানা শ্রেণী পেশায় মানুষ।

তাঁর এ প্রশংসার কারণ জানতে চাইলে একজন স্বচেতন নাগরিক মন্তব্য করেন, সভাপতি হিসেবে তাঁর পুনরায় দায়িত্ব প্রাপ্তি প্রমাণ করে যে তিনি কেবল একজন দক্ষ শিক্ষাপ্রশাসকই নন, বরং একজন দূরদর্শী, প্রতিষ্ঠানের কল্যাণকামী জনবান্ধব ও নীতিবান ব্যক্তিত্ব। আমরা আশাবাদী, তাঁর তত্ত্বাবধানে মাদরাসাটি ফিরে পাবে তাঁর গৌরবোজ্জ্বল অতীত এবং শিক্ষার্থীরা পাবে একটি আদর্শ, নৈতিক ও মানসম্পন্ন শিক্ষার পরিবেশ। এ কারণেই এলাকায় খুশির জোয়ার বইছে।

মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের অভিভাবরা জানান, বিগত সময়ে আবু তোরাব মোহাম্মদ হোসাইন সভাপতি হয়ে তাঁর হাত ধরে এ মাদ্রাসা অনেকদূর এগিয়ে গেছে। সবাই বলেন, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়ন এর ঐতিহ্যবাহী একটি দ্বীনি শিক্ষা নিকেতন বড়হাতিয়া এশাআতুল উলুম ফাযিল ডিগ্রি মাদরাসা। আজ থেকে বিগত ৮০ বছর আগে যেটি প্রতিষ্ঠা করেন মরহুম মাওলানা শের আলী ( রাহঃ) এবং প্রতিষ্ঠাকালিন কান্ডারি ছিলেন অধ্যক্ষ মরহুম মাওলানা সিরাজুল ইসলাম ( রহঃ)। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পর হতে প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ এবং ঐ সময়কার দায়িত্বশীল কমিটির আন্তরিক প্রচেষ্টায় এ প্রতিষ্ঠান উপজেলার সেরা প্রতিষ্ঠান হিসাবে শিক্ষা-দীক্ষায় বিশাল অবদান রেখে আসছিল।

কিন্তু কিছু কাল পর নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে এ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান যখন তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে ঠিক তখন মাদ্রাসা গভর্ণিং বড়ির সভাপতি হিসাবে দায়িত্বনেন বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও শিক্ষাবিদ বড়হাতিয়ার কৃতি সন্তান ও অত্র মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মরহুম মাওলানা শের আলী ( রাহঃ)এর পরিবারের কৃতি সন্তান আবু তোরাব মোহাম্মদ হোসাইন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর পর যেন মাদ্রাসা তার আসল মালিক খুঁজে পেয়ে হারানো ঐতিহ্য ফিরে পেল। দায়িত্ব নিয়েই মাদরাসার সভাপতি আবু তোরাব,র নিজস্ব অর্থায়নে প্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক টাকার বই বিতরণ করেন, তিনি মাদ্রাসার অফিস টাইলস করণ, শিক্ষার্থীদের জন্য একশো মতো বেঞ্চ তৈরি করণ, ছাত্রীদের জন্য আলাদা ওয়াশ বল্ক নির্মাণ, শিক্ষকদের জন্য ১১০% ফ্রভিডেন্ট ফান্ড প্রদান, শিক্ষকদের জন্য স্বাস্থ্য সম্মত ওয়াশ বল্ক নির্মাণ ও আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব অনোমোদন, মাদ্রাসায় লক্ষাধিক টাকার দরজা ও পুরো মাদ্রাসায় রঙয়ের কাজসহ নানা উন্নয়ন কর্মকান্ড সম্পাদনের উদ্যোগ নেন। এভাবেই শিক্ষা ও উন্নয়নে স্বগৌরবে এগিয়ে নেন দ্বীনি প্রতিষ্ঠানটি।

আবু তোরাব মোহাম্মদ হোসাইন একজন উচ্চ শিক্ষাবিদ ও শিক্ষানুরাগী হিসাবে মাদ্রাসা গভর্নিং বডির সভাপতি নির্বাচিত হয়ে গভর্নিং বডি,র সকলকে সাথে নিয়ে মাদ্রাসার লেখাপড়ার মান উন্নয়নে শিক্ষক ও অভিভাবকদের সূসম্পর্কের সেতু বন্ধন তৈরি করেন। সব মিলিয়ে মাদ্রাসায় শিক্ষা ও উন্নয়নের জোয়ার বইতে শুরু হয়েছে।

এ ধারাবাহিকতায় দাখিল, অনুষ্ঠিত আলীম ও ফাযিল পরিক্ষায় ধারাবাহিকভাবে শিক্ষার্থীরা এ+ তথা জিপিএ ৫ পেয়ে গোল্ডেন রেজাল্টসহ মাদ্রাসার গৌরব উজ্জ্বল তৈরি হচ্ছে । এছাড়াও সভাপতি আবু তোরাব মাদরাসার সার্বিক নিরাপত্বা নিশ্চিত করনে মাদরাসার ভিতরে বাইরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেন।

এভাবে করে প্রতিষ্ঠাতা পরিবারের সন্তান আবু তোরাব মোহাম্মদ হোসাইন গভর্নিং বডি,র সভাপতি হয়ে আসল মালিকের হাতেই যেন ন্যস্ত হয় প্রতিষ্ঠান এবং তাদের আন্তরিক পরিচর্চায় যেন বেরিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠান হতে নানা মণিমুক্তা। তাই সকলে বলছে, শিক্ষানোরাগী আবু তোরাব,র চমকপ্রদ উদ্যোগে এশাআতুল উলুম ফাযিল মাদরাসা ফিরে পেল হারানো গৌরব।

অনেক শিক্ষক ও অভিভাবক এভাবেই অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম/ফেসবুকে- আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ মনোনয়নের জন্য আমরা শুধু দিনক্ষণ গুণে আসছিলাম। আমাদের বহু প্রতীক্ষিত, কাঙ্খিত ও প্রত্যাশিত ব্যক্তিটিকে আমরা পুনরায় সভাপতি হিসাবে পেতে যাচ্ছি। ওনাকে পুনরায় সভাপতি হিসেবে পাওয়ার এই দাবি আমাদের মাদ্রাসার সকল ছাত্র-ছাত্রীদের, এই দাবি আমাদের মাদ্রাসার সকল শিক্ষক-শিক্ষিকার, এ দাবি অত্র মাদ্রাসা থেকে পড়ালেখা শেষ করে বের হওয়া বিভিন্ন পর্যায়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের, এ দাবি এলাকার শিক্ষিত ও অপেক্ষা মান কম শিক্ষিত সকল স্তরের মানুষের প্রাণের দাবি। এই অবস্থায় তিনি সভাপতি না হলে মাদ্রাসার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ ও পড়ালেখার গুণগত মানের পরিবর্তনের নানান উদ্যোগ সম্পূর্ণ অনিশ্চিত হয়ে পড়তো। ফলে মাদ্রাসার এক অপুরণীয় ক্ষতি হতো। উনার নেতৃত্বে মাদ্রাসার সকল মহল উনার সাথে কাজ করতে খুবই আগ্রহী। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই মাদ্রাসা আরো অনেকদূর এগিয়ে যাবে এখন আমাদের শুধু এই প্রত্যাশা। অভিনন্দন নতুন সভাপতি মহোদয়কে।

অনেকে ফেসবুকে লেখেন- ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জনাব আবু তোরাব মোহাম্মদ হোসাইন মহোদয় সভাপতি, গভর্নিং বডি বড়হাতিয়া এশাআতুল উলুম ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা।

বড়হাতিয়ার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এশাআতুল উলুম ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি হিসেবে পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণ করায় আমরা জানাই হৃদয় নিংড়ানো শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

জনাব আবু তোরাব মোহাম্মদ হোসাইন মহোদয় একজন নিষ্ঠাবান সমাজসেবক, শিক্ষানুরাগী, বিনয়ী ও দক্ষ প্রশাসক। তাঁর নেতৃত্ব, প্রজ্ঞা ও মানবিক মূল্যবোধ এলাকাবাসীর নিকট প্রশংসিত ও আস্থার প্রতীক।

সভাপতি হিসেবে তাঁর পুনরায় দায়িত্ব গ্রহণ প্রমাণ করে যে তিনি কেবল একজন দক্ষ শিক্ষাপ্রশাসকই নন, বরং একজন দূরদর্শী, জনবান্ধব ও নীতিবান ব্যক্তিত্ব। আমরা আশাবাদী, তাঁর তত্ত্বাবধানে মাদরাসাটি ফিরে পাবে তার গৌরবোজ্জ্বল অতীত এবং শিক্ষার্থীরা পাবে একটি আদর্শ, নৈতিক ও মানসম্পন্ন শিক্ষার পরিবেশ।

আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তাঁর গতিশীল নেতৃত্ব মাদরাসার সার্বিক উন্নয়ন ও এলাকার শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এই অবদান আগামী প্রজন্মের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে। আবারও জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এভাবে নানা শ্রণী পেশার মানুষের শত শত স্ট্যাটাসে ফেসবুক ভরপুর হয়ে যেতে দেখা যায়। রীতিমতো এটা ভাইরাল।

পূনরায় সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় আবু তোরাব মোহাম্মদ হোসাইন,র প্রতি মানুষের এতো ভালোবাসার কারণ কি? এবং এ ব্যাপারে তাঁর অনুভুতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছোট্ট এ জীবনে কোন চাওয়া পাওয়া নেই আমার, এ দ্বীনি প্রতিষ্ঠান আমার পূর্ব পূরুষরা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তখন প্রতিষ্ঠানের অনেক সূখ্যাতি ছিল,কালক্রমে তা হারিয়ে গিয়েছিল প্রায়। শিক্ষার গুণগত মাণ বৃদ্ধি করে প্রতিষ্টানকে এগিয়ে নেবার দৃঢ় প্রত্যয়ে শিক্ষক অভিভাবক ও সর্বস্তরের শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিয়ে কাজ করতে চাই।

যতোদিন বাচঁব মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব এ প্রত্যাশা সবসময়। সকলের দোয়া ও আন্তরিক সহযোগিতা চাই। মানুষের এতো ভালোবাসা আমাকে আরো বেশি কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করেছে। মহান আল্লাহর দয়ায় সকলকে নিয়ে প্রতিষ্টানের, সমাজের সর্বোপরি দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে যাবার স্বপ্ন দেখি।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে