খুলনার ডুমুরিয়ায় শোলমারী স্লুইস গেটে পলি পড়ে আবারো জলকপাট বন্ধ হয়ে পড়েছে। গতবছর বৃষ্টির পানিতে এসব অঞ্চল প্লাবিত ছিলো কয়েক মাস ধরে। জলাবদ্ধতায় রাস্তা-ঘাট, মাছের ঘের, সবজিসহ কয়েক হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টায় ধীরে ধীরে পানি কমে। গত ঈদের পর কয়েক দিনের মধ্যে সেই শোলমারী ১০ ভেন্ট স্লুইস গেটের মুখে আবারো ব্যাপকভাবে পলি পড়েছে। দ্রুত অপসারণ করতে না পারলে পুনরায় প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে বিলডাকাতিয়াসহ ডুমুরিয়ার ৪টি ইউনিয়ন। এসব অঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্ধি ছিলো। শুক্রবার বিকালে খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম রেগুলেটরটি পরিদর্শন করেছেন।
এসময়ে তিনি বলেন, "শোলমারী রেগুলেটরের মুখে এবং আপার ভদ্রা নদীটি পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। এটা অপসারণ খুব ব্যয়বহুল। আমরা চেষ্টা করছি আগামী বৃষ্টি মৌসুমের আগে পলি অপসারণ করার।"
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ আল-আমিন, ডুমুরিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো: আসাদুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইনসাদ ইবনে আমিন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডি আতিকুর রহমান, এসও তরিকুল ইসলাম, পুলিশের এসআই মিজানুর রহমান, ইউপি সদস্য গাজী মেহেদী হাসান মিন্টু প্রমুখ।
খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড এই নদীর ১৫ কিলোমিটার ড্রেজিং সহ ২৪ টি খাল পুনঃ খননের জন্য প্রায় ৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প সাবমিট করেছে গত বছর বন্যার পর। এখনো সেটা অনুমোদনের অপেক্ষায় ঝুলে আছে মন্ত্রণালয়ে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও তরিকুল ইসলাম জানান, শোলমারী স্লুইস গেট আগামী মে মাসের শেষ দিকে ১ কিউমেক ২টি পাম্প স্থাপন করা হবে। প্রতি সেকেন্ডে ১০০০ লিটার পানি নিষ্কাশিত হবে প্রতি পাম্প দিয়ে। তবে ৫০ কোটি টাকার প্রকল্পটি অনুমোদনসহ বাস্তবায়ন হলে জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হবে।
উল্লেখ্য, বটিয়াঘাটা ও ডুমুরিয়া সীমান্ত দিয়ে বয়ে গেছে ভদ্রা নদীটি। বর্তমান নদীটি পলি পড়ে প্রায় সমতল ভূমিতে রূপ নিয়েছে। নদীর একদিক গেছে কাজিবাছা নদীতে আর একদিক মিশেছে বারোআড়িয়া হয়ে শিবসা নদীতে। বৃহত্তর বিলডাকাতিয়াসহ ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের পানি নিষ্কাশন হওয়ার একটাই নদী এই ভদ্রা। যে নদীটি এখন ভরাট হয়ে খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে।
যাযাদি/ এসএম