শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

বিয়ের তিন মাসেই স্ত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, স্বামীর মামলা

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
  ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ২০:৩৬
বিয়ের তিন মাসেই স্ত্রী ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা, স্বামীর মামলা
ছবি: যায়যায়দিন

নাটোরের গুরুদাসপুরে বিয়ের মাত্র তিন মাসের মাথায় স্ত্রী সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা, এমন অভিযোগ এনে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এক নব-বিবাহিত স্বামী। ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা যায়, গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের লাল মিঞার ছেলে ফিরোজ আলী (২৩) চার মাস পূর্বে (২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর) বিয়ে করেন রাজশাহী তানোর উপজেলার রিয়াজুল ইসলামের মেয়ে শিমলা আক্তার রিয়া (২৩)-কে। বিয়ের পর সংসার চলছিল স্বাভাবিকভাবে। কিন্তু বিয়ের তিন মাস পর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন রিয়া। এরপর তাকে নাটোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, তিনি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

এই তথ্য জানার পর স্বামী ফিরোজ আলী ও তার পরিবারের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে। তিন মাসের বিবাহিত জীবনে কীভাবে সাত মাসের গর্ভ! এ নিয়ে রিয়াকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে প্রায় ২ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রতিবেশী জলিল মিস্ত্রির ছেলে রাব্বীর সঙ্গে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন ফিরোজ আলী।

ঘটনার পর গত ২৫ মার্চ গুরুদাসপুর আমলী আদালতে শিমলা আক্তার রিয়া ও রাব্বীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ফিরোজ আলী। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য সিআইডিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

ফিরোজ আলী বলেন,“আমি ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালিয়ে জীবন-জীবিকা নির্বাহ করে থাকি। আনুমানিক পাঁচ মাস পূর্বে রঙ নম্বরে কল এসে রিয়ার সাথে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক মাস পর নাটোর কোর্টে গিয়ে দুজন বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের তিন মাস পর আমার স্ত্রী অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে জানতে পারি সে ৭ মাসেরঅন্তঃসত্ত্বা। এমন ঘটনা কিভাবে ঘটলো জানতে চাইলে কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বরং প্রতিবেশী এক যুবকের সাথে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় আমি আদালতে মামলা করেছি।”

অভিযুক্ত রাব্বাীর সাথে যোগাযোগ করতে তার বাড়িতে গিয়েও পাওয়া যায়নি। তবে, এ সকল অভিযোগ অস্বীকার করে স্ত্রী শিমলা আক্তার রিয়া বলেন, “বিয়ের প্রায় দুই বছর আগ থেকেই ফিরোজের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ছিল। বিয়ের আগেই আমাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিল। এখন সেই সত্যি মেনে না নিয়ে বরং আমাকে নির্যাতন করেছে ফিরোজ। আমার অন্য কারো সাথে কোন অবৈধ সম্পর্ক ছিলো না।”

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে