শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২

সলঙ্গার ৬৫ বছর পর মসজিদের নামে ওয়াকফকৃত ৯ বিঘা জমি উদ্ধার 

সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি
  ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১৯:৫০
সলঙ্গার ৬৫ বছর পর মসজিদের নামে ওয়াকফকৃত ৯ বিঘা জমি উদ্ধার 
ছবি: যায়যায়দিন

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার হাটিকুমরুল ইউনিয়নের চরিয়া শিকার উত্তরপাড়া নদীর ধারে কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ওয়াকফকৃত ৯ বিঘা সম্পত্তি জবর দখল থেকে মুক্ত করলেন এলাকাবাসী।

শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) জুম্মা নামাজের পর চরিয়া শিকার উত্তর পাড়ার মসজিদের মুসুল্লীগন ও এলাকাবাসী মিলে মসজিদের ওয়াকফকৃত আরএস ৩৯০ ও ৩৯২ খতিয়ানের ১৬৯৬, ১৬৬৫,৪৯৬৮,১১৬০,১৬৫৯,৪৯০৭,৫০৩১ দাগের নোট মোট ৩০৩ শতক জমিতে মসজিদের সাইনবোর্ড টানিয়ে মন্টু মাস্টারের জবর দখল মুক্ত করেন এলাকাবাসী।

জানাজায়, মোতাওল্লী আব্দুল জলিল সরকারের ফুফু লতিফুন নেছা ১৯৬২ সালে উত্তরপাড়া জামে মসজিদের নামে আব্দুল জলিলকে মোতাওল্লী করে ৩০৩ একর জমি ওয়াকপ করে দেন। আব্দুল জলিল সরকার মারা যাওয়ার পর তথ্য ও নথি গোপন করে আব্দুল জলিলের বড় ছেলে জাহিদুল ইসলাম মন্টু মোতাওয়াল্লী নিয়োগ এনে জবরদখল করে ফসলাদি মসজিদে না দিয়ে ফসলাদি ও টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে আসছিল।

সম্প্রতি একটি নতুন রাস্তানেওয়াকে কেন্দ্র করে নথি পত্র বেরিয়ে আসলে এলাকার যুবসমাজ ও মসজিদ কমিটি ওয়াকফ থেকে নথিপত্র উদ্ধার করে। এর পর জাহিদুল ইসলামকে বার বার মসজিদ কমিটির হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বললেও মন্টু মাস্টার মসজিদের হিসাব ও মসজিদের জমি নয় বলে এরিয়ে যান।

পরে এলাকাবাসী বৈঠক করে সকলের মতামতের ভিত্তিতে জায়গা সনাক্ত করে দখল মুক্ত করেন।

মসজিদ কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল ইসলাম ডলার জানান, ইতিপূর্বে আমরা জানতামই না আমাদের মসজিদে ওয়াকফকৃত ৯ বিঘা সম্পত্তি রয়েছে। রাস্তাকে কেন্দ্র করে বিষয়টি খোলাসা হয়। এরপর আমরা ঢাকার ওয়াকফ থেকে কাজ প্রত্র ও দলিলাদী সংগ্রহ করি। তাকে হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য বার বার মৌখিক ও লিখিত ভাবে অবহিত করি। কিন্তু তিনি আমাদের কাগজ পত্র ভূয়া ও তাদের পৈত্রিক সমপত্তি বলে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করতে থাকে।

এলাকাবাসীর সিন্ধান্ত মোতাবেক আজ সকল জায়গায় মসজিদের জমিতে মসজিদের সাইনবোর্ড টানিয়ে ৬৫ বছরের দখল মুক্ত করা হয়েছে। এখন থেকে এসব সম্পত্তি মসজিদ ও এলাকাবাসীর সিন্ধান্ত মোতাবেক পরিচালিত হবে ইনশাআল্লাহ্।

এসময় উপস্থিত মুরুব্বিদের মধ্যে আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মাস্টার জানান, ইতিপূর্বে প্রায় ১৫ বছর আগে আমি একটু আবগত হলে আমি মন্টুর কাছে কাগজ পত্র দেখতে চাইলে আমাকে হত্যার হুমকি ও বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করে আমাকে দমিয়ে রাখা হয়। আজ যুবক সমাজ ও এলাকাবাসীর সাথে সেই জমি উদ্ধার করে আমি অত্যান্ত আনন্দিত এখন থেকে মসজিদের জায়গা মসজিদের তথ্যাবদানে পরিচালিত হবে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে