নেত্রকোনা জেলা যুবদলের সাবেক ১নং সহ-সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনি জেলা যুবদলের সভাপতি পদপ্রার্থী। তিনি জেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে কেন্দ্রীয় কমিটির নিকট সিভি জমা দিয়েছেন। জেলা যুবদলের সভাপতি প্রার্থী হিসেবে মামুন খান রনি বেশ আলোচনায় রয়েছেন।
জানা গেছে, জেলা শহরের ঐতিহ্যবাহী চকপাড়াস্থ খান পরিবারের সন্তান জেলা যুবদলের সাবেক ১নং সহ-সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনি। তিনি জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ উদ্দিন খানের বড়ছেলে। গত দেড় দশক ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জেলা শহরের রাজপথে যুবদল নেতা রনির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় যুবদলের প্রতিটি নিদের্শনা বাস্তবায়নে নেতাকর্মীরা ছিলেন বেশ সক্রিয়।
জেলা যুবদলের আপোষহীন নেতা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনির নেতৃত্বে বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের সময়ে শহরে ঘন ঘন ঝটিকা মিছিল, মশাল মিছিল, পিকেটিং প্রত্যক্ষ করেছে শহরবাসী। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের শাসনামলে জেলা শহরের রাজনীতিতে সাবেক উপমন্ত্রী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, পুলিশসহ আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের কাছে তিনি ছিলেন যুবদলের একজন অপ্রতিরোধ্য নেতা। প্রায় ৫৫টি গায়েবী মামলা, রিমান্ড, বার বার কারানির্যাতন, প্রতিপক্ষের হামলা, চকপাড়াস্থ বাসভবনে নিয়মিত পুলিশী তল্লাশী চলাকালেও যুবদল নেতা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনির নেতৃত্বে শহরের রাজপথে মিছিল পিকেটিং করেছে নেতাকর্মীরা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নির্দেশনায় প্রতিটি বিভাগীয় কর্মসূচী থেকে শুরু করে জেলার কর্মসূচীগুলো বাস্তবায়নে যুবদল নেতা রনি ছিলেন নেতৃর্ত্বের অগ্রভাগে। প্রতিটি প্রাকৃতিক দূর্যোগে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে তিনি ছুটে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে যাচ্ছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনির ব্যক্তিগত উদ্যোগে রমজানের প্রথমদিন থেকে শেষদিন পর্যন্ত জেলা শহরের ৯টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৩০০ জন রোজদারের মধ্যে ইফতার বিতরন করা হয়। দলের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের সংগঠিত করে রাজপথের আন্দোলন চলাকালে মামুন খান রনির নেতৃত্ব ছিল কঠিন চ্যালেঞ্জের। কখনই পিছু না হটে কর্মসূচী সফল করতে গিয়ে পুলিশের সাথে ধস্তাধস্তি, প্রকাশ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার সময়ে নেতৃর্ত্বের অগ্রভাগে থাকা জেলা যুবদল নেতা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনিকে জেলা যুবদলের সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় তার রাজনৈতিক সহযোদ্ধারা।
জেলা যুবদলের কঠিন দুঃসময়ে মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনির নেতৃত্ব, ত্যাগ, হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হওয়ার পাশাপাশি মানবিক কর্মসূচীগুলো দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে হচ্ছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশছেড়ে পালিয়ে যাবার পর জেলা শহরের হিন্দু সম্প্রাদায়ের মধ্যে খানিকটা অস্বস্থির সৃস্টি হলে যুবদল নেতা মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনি তাৎক্ষনিক ছুটে যান সনাতন ধর্মবরম্বীদের নিকট। তিনি প্রতিটি মন্দির রাত জেগে পাহাড়ার ব্যবস্থা করেন। শহরের ১৮টি স্পর্শকাতর মন্দিরে মামুন খান রনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা প্রদান করেন। জেলা যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রতিটি নির্দেশনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি জেলা শহরকে সন্ত্রাস এবং মাদকমুক্ত করার লক্ষ্যে জেলা যুবদলের সাবেক ১নং সহ-সভাপতি মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান রনি এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
যাযাদি/ এসএম