গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা ও মুলাইদ গ্রামের অন্যতম প্রধান যোগাযোগমাধ্যম মাওনা-ধনুয়া সড়কটি এখন দুর্ভোগের অপর নাম।
শুক্রবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই সড়কটি মাওনা বাজারের কালিয়াকৈর সড়ক থেকে শুরু হয়ে শেষ হয়েছে জৈনা বাজার-সখিপুর সড়কে গিয়ে। ধাপে ধাপে এর দুই প্রান্তের প্রায় ৪ কিলোমিটার উন্নয়ন করা হলেও মাঝখানের প্রায় ২ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশে এখন শুধুই খানাখন্দ আর জলাবদ্ধতা। সামান্য বৃষ্টিতেই সেখানে সৃষ্টি হয় চলাচলের অনুপযুক্ত অবস্থা—চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় সাধারণ মানুষ ও শিল্পকারখানার ভারী যানবাহনকে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ সড়কের আশপাশে অন্তত ৮টি বড় শিল্প কারখানা আছে। এগুলোতে কর্মরত প্রায় ২০ হাজার শ্রমিক প্রতিদিন এই সড়ক ব্যবহার অফিসে যাচ্ছেন। কিন্তু গত সাড়ে তিন বছর ধরে মাওনার হাজীপাড়া থেকে ধনুয়া হানু মার্কেট পর্যন্ত সড়কটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে আছে। খানাখন্দ এড়াতে স্থানীয় উদ্যোগে কয়েকবার সুরকি ফেলে চলাচলযোগ্য করার চেষ্টা করা হলেও তা টেকসই হয়নি।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, 'বহুবার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে অভিযোগ করেও মিলেনি কার্যকর উদ্যোগ। বর্ষাকালে দুর্ভোগ আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। গত ক’দিনের বৃষ্টিতেও একই পরিস্থিতির পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। তাই আমরা জরুরি ভিত্তিতে এ রাস্তা মেরামতের দাবী জানাই।'
হাজী ছোট কলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান সজল বলেন, “ আশপাশে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি শিল্প কারখানা থাকায় এ সড়কের গুরুত্ব অনেক। দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকা সড়কটিতে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়ে । তাই, দ্রুত সড়কটি সংস্কার দরকার বলে আমার দাবি।'
স্থানীয় ব্যবসায়ী ফয়সাল আহমেদ বলেন, “ অন্যতম ব্যস্ত ওই রাস্তার দুই পাশের উন্নয়ন দিয়ে জনসাধারণের কোনো কাজেই আসছে না। কারন, মাঝখানের বেহাল অংশের কারণে মানুষ স্বাভাবিক চলাচল করতে পারছেনা। আশপাশে একাধিক শিল্প কারখানা আছে। সামনে বর্ষা, দুর্ভোগ আরও বাড়বে। তাই, টেকসই উন্নয়নের মাধ্যমে মেরামত জরুরি।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ব্যারিস্টার সজিব আহমেদ বলেন, “ বিষয়টি অবগত হয়ে ইতোমধ্যেই ওই রাস্তাটি মেরামতের জন্য গাজীপুর প্রকল্পে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলেই কাজ শুরু হবে।'
যাযাদি/ এসএম