সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলায় ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে চলতি বছরের সেচ পাম্পের উপর নির্ভরশীল ইরিগেশনসহ বিভিন্ন স্থানের শিশু, বয়স্করা ও চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। এতে প্রচণ্ড গরমে নাভিশ্বাস ওঠা মানুষ এখন বার বার বঞ্চিত হচ্ছে বিদ্যুতের সেবা থেকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দুর্গম এ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘদিন ধরে দিনে সূর্যের তেজ আর রাতে ভাপসা গরমে অসহনীয় হয়ে উঠছে মানুষ। সেইসঙ্গে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ে মানুষ বৈদ্যুতিক পাখার বাতাস থেকেও বঞ্চিত এবং বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় উপজেলাজুড়ে ঘন ঘন লোডশেডিং চলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নাগরপুর ও চৌহালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। টাঙ্গাইলের নাগরপুর জোনাল অফিসের আওতাধীন চৌহালীতে প্রায় ২৫ হাজার বিদ্যুতের গ্রাহক রয়েছে।
এছাড়া ছোট বড় চার থেকে পাঁচটা কারখানাও রয়েছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে চৌহালীতে ঘন ঘন লোডশেডিং। স্থানীয় প্রাণিসম্পদ অফিসার কৃষিবিদ ডা: শাহআলম জানান, এ উপজেলায় গত কয়েক দিন সর্বোচ্চ ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করেছে এবং এ কারণে গরমের প্রভাব বাড়ছে। এদিকে ঘনঘন লোডশেডিং এর কারনে বিপাকে পড়েছে সেচ পাম্পের উপর নির্ভরশীল ২৫ হেক্টর ইরিগেশন এমনটাই জানিয়েছে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জাহিদুর রহমান ও অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ সিফাত ।
চরাঞ্চলের বেশিরভাগ গ্রামঞ্চলে গত এক সপ্তাহ ধরে গড়ে প্রতিদিন ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে বলে জানান এলাকাবাসী।
এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ নাগরপুর অফিসের ডিজিএম মেজবাউল হক জানান, তার অফিসের আওতায় ৯৬ হাজার গ্রাহকের জন্য বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে ৪৫ মেগাওয়াট। কিন্তু সরবরাহ করা হচ্ছে ৮ থেকে ১০ মেগাওয়াট। চাহিদার চেয়ে সরবরাহ কম থাকায় লোডশেডিং কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে এ পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান হবে বলে তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছে।