শ্রীলঙ্কান নাগরিকদের কাছে আড়াই কোটি টাকা মুক্তিপন চেয়েছিল অপহরণকারীরা
প্রকাশ | ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:৫২

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে কৌশলে অপহরণ করা তিনজন শ্রীলংকান নাগরিককে বাগেরহাট থেকে উদ্দারের ঘটনার বর্ণনা দিলেন খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক। উদ্ধারের সকল কার্যক্রম পরিচালনার বর্ণনার জন্য খুলনা রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ২ টায় খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মোঃ রেজাউল হক জানান, শ্রীলঙ্কান নাগরিক মালাভি পাথিরানা, পাথিরানা, থুপ্পি মুদিইয়ান সেল্যাগ নীল বাগেরহাটের শহিদুল শেখ নামের এক ব্যক্তির ব্যবসায়িক আমন্ত্রণে গত ২২ এপ্রিল বাংলাদেশে আসেন ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে। পরবর্তীতে কাজী এমদাদ হোসেন, শহিদুল শেখ ও জনি শেখ এস এম সামসুল আলম এই ৪ জন শ্রীলঙ্কায় তাঁদের পরিবারকে ফোন করে বাংলাদেশের একটি নম্বর থেকে মুক্তিপণ দাবি করেন। আড়াই কোটি টাকার মুক্তিপন প্রদানে রাজী হওয়ায় তাদের মধ্যে মৌখিক চুক্তি হয়। এরপর শ্রীলংকা থেকে চারটি ব্যাংকের একাউন্টের মাধ্যমে টাকা আনার চেষ্টা করা হয়। বিষয়টি শ্রীলংকান হাই কমিশন থেকে বাংলাদেশের হাই কমিশন, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয় এবং পুলিশের হেড কোয়ার্টাওে জানানো হলে খুলনার পুলিশ উদ্দাওে সর্বশক্তি নিয়োগ করে। ওই তিনজনকে ঢাকা ও বাগেরহাটের কয়েকটি স্থানে রাখা হয়। গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) গভীর রাত সাড়ে ১২টার দিকে দক্ষিন আমবাড়ি গ্রামের এমদাদ কাজীর বাড়ি থেকে শ্রীলঙ্কান নাগরিকদের উদ্ধার করা হয়। এসময় অপহরণের সাথে জড়িত ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার দক্ষিণ আমবাড়ি এলাকার সেরাত কাজীর ছেলে কাজী এমদাদ হোসেন (৫২), সবুর শেখের ছেলে শহিদুল শেখ (২৪) ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার খাটিয়াগড় গ্রামের জাকির শেখের ছেলে জনি শেখ (৩৮) ও চরকুলিয়া এলাকার এস এম শাহাব উদ্দিনের ছেলে এস এম সামসুল আলম (৪৫)। তাঁদের মধ্যে সামসুল আলমকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আটক করে পুলিশ।