বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

বাগেরহাটে প্রতিবেশীর হামলায় আহত ২

কচুয়া(বাগেরহাট)প্রতিনিধি
  ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ২০:৩৫
বাগেরহাটে প্রতিবেশীর হামলায় আহত ২
ছবি: যায়যায়দিন

বাগেরহাটের সদর উপজেলার রাখালগাছি ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামে পূর্ব পরিকল্পিত ও খাবার পানির বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশীর হামলায় আহত হয়েছে নেপাল ভট্টাচার্য(৫০) ও তার স্ত্রী বিউটি ভট্টাচার্য(৪৫),ছেলে প্রাপ্ত ভট্টাচার্য(১৭)।

অভিযোগ সূূত্রে জানাযায়,গত (সোমবার)২১ এপ্রিল আনুমানিক রাত ৮ টার সময় প্রাপ্ত ভট্টাচার্য্য ডিপ টিউবওয়েলের পানি আনতে গেলে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কথা কাটাকটির এক পর্যায়ে তারা পিতা নেপাল ভট্টাচার্য্য ঘটনাস্থলে আসলে অমিত ভট্টাচার্য (১৯) ও তার মাতা লক্ষী রানী ভট্টাচার্য্য (৪৫), পিতা গোপাল ভট্টাচার্য্য (৬৫) নেপাল ভট্টাচার্য্যকে সাইকেলের চেইন দিয়ে চোঁখে আঘাত করে পরে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর যখম করে। এক পর্যায়ে তার স্ত্রী বিউটি ভট্টাচার্য্য মারপিট ঠেকাতে গেলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে।

গুরুতর আহত হয়ে নেপাল ভট্টাচার্যকে বাগেরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে নেপাল ভট্টাচার্য্যর স্ত্রী বিউটি ভট্টাচার্য্য বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর থানায় অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ্য করেন,বাগেরহাট সদর থানাধীন ভাটপাড়া বাদীর বসত বাড়ীর পাশে ১টি সরকারী ডিফ টিউবয়েল আছে।উক্ত সরকারী ডিফটিউবল এলাকার অনেক লোকজন পানি নেয়।

গত ২১ এপ্রিল সোমবার রাত ০৮ টার সময় আমার ছেলে প্রাপ্ত ভট্টাচার্য্য (১৭) বয়স। উক্ত সরকারী ডিফটিউবল পানি আনতে গেলে তখন আমার ছেলেকে মারতে গেলে আমার স্বামী নেপাল চন্দ্র ভট্টচার্য্য আমার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য সেখানে গেলে ১নং বিবাদী আমার স্বামীকে বাই সাইকেল চেইন দিয়ে স্বামীর ডান চোখের উপর আঘাত করিয়া গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে।

আমাকে ২নং বিবাদী লক্ষী রানী ভট্টাচার্য্য বাঁশের লাঠি দিয়ে হাতে,পিঠে, কোমরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করিয়া নীলা ফোলা জখম করে। ৩নং বিবাদী গোপাল ভট্টচার্য্য আমাকে চুলের মাঠি ধরিযা টানা হেচড়া করিয়া নাকে মুখে কিল ঘুষি মারিয়া নীলা ফোলা জখম করে। বিবাদীরা আমাদের বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি সহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জমি থেকে তাড়িয়ে দেয়। আমি ও আমার পরিবারের সকল সদস্যরা বর্তমানে চরম নিরাপত্তহীণতায় ভূগিতেছি। বিবাদীরা যে কোর সময় এলাকায় শান্তি শৃংখলা বিঘ্ন ঘটাতে পারে।আমার স্বামী নেপাল চন্দ্র ভট্টচাৰ্য্য কে উদ্ধার করিয়া ২৫০ শয্যা বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করি। বর্তমানে আমার স্বামী হাসপাতালে ভর্তি আছে। আমি হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেই। আমি নিরুপায় হয়ে থানায় আসিয়া অভিযোগ দায়ের করিতে বাধ্য হয়।

এদিকে বাদী প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন,হামলাকারীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির ব্যাবস্থা করার জন্য জোর দাবি জানান।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে