গ্রীষ্মের প্রচন্ড খরতাপ ও অনাবৃষ্টির কারণে পানির জন্য চারদিকে মানুষের হাহাকার। পানির জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাগরদিঘীর চারপাড়ের পনের হাজারেরও অধিক মানুষ। গভীর নলকূপেও পানি উঠছে না; এমন সময়ে বানিয়াচং উপজেলার ঐতিহাসিক সাগরদিঘী থেকে পানি সেচ করার অভিযোগ উঠেছে লীজগ্রহীতা রেজান উদ্দিন। মাছ ধরার জন্য প্রথম দফায় মেশিন দিয়ে পানি কমিয়ে পুণরায় দ্বিতীয় দফায় মেশিন দিয়ে দুইদিন যাবত তিনি পানি সেচ করছেন।
সাগর দিঘীর গঠনতন্ত্র ও বিদ্যমান আইনে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত পানির দিঘী বা জলাশয় সেচ করা নিষিদ্ধ থাকলেও আওয়ামী লীগ নেতা রেজান উদ্দিন আিনের তোয়াক্কা করছেন না। তিনি সাগরদিঘীর পশ্চিমপাড়ের প্রয়াত রমজান উল্যার ছেলে।
এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, এক সময় সাগর দিঘীর চারপাড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন মরহুম নাজমুল হোসেন খান লুকু ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন মরহুম সাবেক চেয়ারম্যান হামিদুর রহমান খান আরজ মিয়া। তাঁরা দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে কোনো লীজগ্রহিতা পানি সেচ না করেই মাছ আহরণ করেছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সাগরদিঘী চারপাড় কল্যাণ সমিতির অর্থ সম্পাদক ও আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেনকে ম্যানেজ করে এ দুঃসময়ে সাগরদিঘীর পানি সেচ করার সুযোগ পেয়েছেন রেজান উদ্দিন।
সূত্রটি আরও জানায়, মাছ আহরণের নামে পানি সেচ করে দিঘী থেকে মাটি বিক্রয়ের পায়তারা শুরু হয়েছে। এরই আলোকে সাগরদিঘীর উত্তরপাড়ের দিকে ৩টি মেশিন বসিয়ে পানি সেচ করা হচ্ছে। অথচ চারপাড়ের প্রায় ১৫ হাজার নারী-পুরুষের একমাত্র পানির নির্ভরতা হচ্ছে এ সাগরদিঘী। এতে করে জনসাধারণের পানির দুর্দশা লাঘবে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।
এ ব্যাপারে বানিয়াচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা বেগম সাথী প্রতিদিনের বাণীকে বলেন, ‘পানি সেচ যদি জনস্বার্থে হয়ে থাকে তাহলে ঠিক আছে; তবে যদি জনস্বার্থবিরোধী কাজে পানিসেচের কাজ করা হয় তাহলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’