বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

নিয়ামতপুরে জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব, থানায় অভিযোগ

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
  ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:৩৩
নিয়ামতপুরে জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব, থানায় অভিযোগ
ছবি: যায়যায়দিন

নওগাঁর নিয়ামতপুরে জমির মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব। এ বিষয়ে গত ১৭ এপ্রিল নিয়ামতপুর থানার অভিযোগ করেন চন্দননগর ইউনিয়নের, চন্দননগর গ্রামের মৃত মছির উদ্দিন সরদার এর ছেলে ফুল মোহাম্মদ।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সিএস মূলে ৭৭ বিঘা জমির মালিক মছির উদ্দিন সরদার। ওয়ারিশ দয়ের পক্ষে ২৯ বিঘা জমি নিজেদের দখলে থাকে, বাকি ৪৮ বিঘা জমি মহাদেবপুর উপজেলার জয়পুর ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত হাজী আসিরুদ্দিন নিলামে খরিদ করেছে বলে ভোগ দখল করেন, এমনকি এসএ এবং আরএস তার নামে রেকর্ড হয়। রেকর্ড মূলে তিনি চন্দননগর গ্রামের, আব্দুস সাত্তার, সাদেক আলী,সহ আরো অনেকে জমি ক্রয় করেন। পুরো ৭৭ বিঘা জমি মৃত হাজী আসিরুদ্দিনের ওয়ারিশ গন তাদের দাবি করে মামলা দায়ের করেন।

সে মামলায় ২০০৫ সালে ফুল মোহাম্মদ ডিগ্রি প্রাপ্ত হন। পরবর্তীতে বাদিগণ নওগাঁ কোটে আফিল করলে, ২০২৩ সালে ফুল মোহাম্মদ পুনরায় ডিগ্রী প্রাপ্ত হন।

এরপরে নওগাঁ ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বাদিরা ১৪৪ ধারা দায়েরের পরে ১৪৫ ধারা অনুযায়ী স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা কোর্ট থেকে নিয়ে আসেন। এরপরে ঐ মামলা নং ১১২৪ (নিয়া) ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ১৪৫ এর অধীনে হাইকোর্টে সিভিল পিপিটিশন করেন ফুল মোহাম্মদ, মহামান্য হাইকোর্টে সোনানি করলে তৎক্ষণাৎ ১৪৫ ধারীদেরকে Statusqur দেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ফুল মোহাম্মদ বলেন, আমরা ছোট থেকে জেনে আসছি ৪৮ বিঘা জমি আসিরুদ্দিন নিলামে ক্রয় করেন, তবে ২০০৫ সালের দিকে জানতে পারি জমিটি আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি। এ বিষয়ে নওগাঁ কোটে মামলা করলে প্রতিপক্ষ জমির উপযুক্ত কাগজ ও প্রমাণাদি দেখাতে না পারায় বিজ্ঞ আদালত ২০০২৩ সালে আমাদের পক্ষে রায় দেন। এরপর পুরো জমি ভোগ দখল করতে শুরু করি। ২০২৪ সালে বিবাদীগণ সেই জমিতে আমার রুপনকৃত পাকা ধানে কীটনাশক প্রয়োগ করে ৪৮ দীঘা জমির ধান নষ্ট করে ফেলে। এতে আমি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ি।

এ বিষয়ে আব্দুস সাত্তার বলেন, আমরা বিগত ৪৩ বছর থেকে উক্ত জমি ভোগ দখল করে আসছি। ৬২ এবং ৭২ খতিয়ান মূলে আমাদের জমিতে কোন সমস্যা নাই। বরং ফুল মোহাম্মদ আমাদের বিরুদ্ধে বার বার মামলা করলেও আমরাই সবসময় কোটে রায় পেয়ে জমিতে চাষ আবাদ করছি।

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি হাবিবুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে