নিকলীতে নাগরিক সমাজের বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদান
প্রকাশ | ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:০৪

কিশোরগেঞ্জর নিকলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের কুর্শা পশ্চিম পাড়া গ্রামের ১টি পরিবার কে ‘এক ঘরে’ করার প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সমাজ পতিদের বিরুদ্ধে নিকলীর প্রতিবাদী নাগরিক সমাজের বিক্ষোভ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাধ্যম দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
স্মারকলিপিতে বিক্ষোভকারীরা মঙ্গলবার দুপুরে নাগরিক সমাজের ব্যানারে লিখিত অভিযোগে ৯০জন এলাকাবাসীর স্বাক্ষরিত করেন।
এসময় তারা বলেন এই হাওরের কুর্শা পশ্চিম পাড়া গ্রামের মসজিদ চত্তরে মাইকিং এর মাধ্যমে কাউকে ‘এক ঘরে’ করে রাখার কোনো বিধান নেই বলে উল্লেখ করা হয়। এদের মধ্যে প্রভাবশালী ইদ্রিস আলী ওরফে ইদু মিয়া এ পরিবার কে দীর্ঘদিন ধরে জিম্মি করে রেখেছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, মোড়লরা সন্ত্রাসী, চোর, ডাকাত কেউ সংকোচ করে না। গত ২৮ মার্চ কুর্শা পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের উন্নয়ন কাজে সহায়তার জন্য মসজিদ কমিটি গ্রামবাসীর নামে আগে থেকেই চাঁদা ধার্য করে।
সেখানে অন্যান্যদের সঙ্গে কুর্শা পশ্চিম পাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের নামেও চাঁদা ধার্য করা হয়। অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, আবু বক্কর সিদ্দিক মসজিদের ১ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। ওই সময় কিছু টাকা ঘাটতি থাকার কারণে ৯১ জন মুসল্লি চাঁদার টাকা ব্যার্থ হওয়ায় মসজিদ এর মাইকিং এ ৯১ জনের নাম ঘোষনা করে বসে ওই প্রভাবশালী সমাজ পতিরা।
১২ই এপ্রিল শনিবার রাতে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মসজিদ চত্তরে শালিস বৈঠক বসান বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে বাধা প্রদান বা ‘এক ঘরে’ করা দন্ডবিধির ৩৪১-৩৪২ ধারার অপরাধ বলে গণ্য। সংবিধানের ৩৫ (১)- এর ৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, অপরাধ ব্যতীত কাউকে কোন ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। এসময় বিক্ষোভ শেষে নিকলী উপজেলার পরিষদ চত্তরে প্রতিবাদী নাগরিক সমাজের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, মোঃ কামরুল হাসান, খাইরুল ইসলাম, রেফায়েত হোসেন আরিফ, আলমগীর হোসেন, এনামুল হোসেন, প্রিন্স মাহমুদ তুহিন, প্রান্ত, রানা, আসাদ প্রমূখ।
যাযাদি/ এম