দামুড়হুদা মাথাভাঙ্গা নদীতে কোমর অপসারণের কার্যক্রম শুরু 

প্রকাশ | ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:২৮

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

চুয়াডাঙ্গা জেলার একমাত্র হৃদপিন্ড  মাথাভাঙ্গা নদী থেকে কোমর ও বাঁধ অপসরণের কার্কযক্রম শুরু হয়েছে।

গত সোমবার (২০ এপ্রিল) জাতীয় দৈনিক "যায়যায়দিন" পত্রিকায় কোমর, বাঁধ ও কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার(২২ এপ্রিল)  দিনব্যাপী দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহি অফিসারের নির্দেশে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি কে এইচ তাসফিকুর রহমান ও দামুড়হুদা উপজেলা মৎস্য অফিসারে ফারুক মহলদারের নেতৃত্বে আজ মঙ্গলবার দিনব্যাপী দামুড়হুদা উপজেলার মধ্যেই  অবৈধ কোমর ও বাঁধ নদী থেকে অপসরণের কাজ শুরু হয়েছে । 

এসময় দামুড়হুদার বাস্তবপুরের বাঁধ ও সুবুলপুরের তিনি কোমর উচ্ছেদ করা হয়। প্রশাসনের খবর পেয়ে অসাধু কিছু মৎস্যজীবিরা পালিয়ে যায়। 

 এ অঞ্চলের একমাত্র নদী মাথাভাঙ্গা। এ নদীতে একশ্রেণির অসাধু মৎস্যজীবীরা কারেন্টজাল ও কোমর দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে। গাছের ডালপালা দিয়ে কোমড় তৈরি করে মাছ শিকারের ফলে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে স্রোত, যেখানেই স্রোত বাধাপ্রাপ্ত হয়, সেখানেই পড়ে পলিমাটি, এবং দেশীয় মাছ বিলুপ্তি হচ্ছে।  যে কারণে ভরাট হয়ে যাচ্ছে নদী। একদিন হয়তো এই নদীটি স্রোতহীন মরা নদীতে পরিণত হয়ে পড়বে। তাই উপজেলা প্রশাসন বাঁধ ও কোমর এবং বর্জ্য অপসারণের ব্যবস্থা গ্রহন করেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা মাথাভাঙ্গা নদী বাচাঁও আন্দোলনের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ হামিদুল হক মুন্সি বলেন, নদীতে আজ মঙ্গলবার দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন সরজমিনে নদীতে গিয়ে বাঁধ,  কোমর ও কারেন্ট জাল অপসারন এবং উচ্ছেদ অভিযান চালানোর জন্য সাধুবাদ  জানাই। পাশাপাশি আমাদের সকলকেই নদী বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে। 

দামুড়হুদা চুয়াডাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভুমি) অফিসার কে এইচ তাসফিকুর রহমান বলেন, মাথাভাঙ্গা নদীতে অবৈধ ভাবে বাধ, কোমর ও কারেন্ট জাল দিয়ে নদীতে  মাছ শিকার করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ  নেওয়া হবে। আমাদের অভিযান দুইদিন পরপর অব্যহত থাকবে। আমরা এলাকাবাসীকে জানিয়ে দিয়েছি দ্রুত সময়ে মধ্যে নদীতে কোমর ও বাঁধ সরিয়ে নিতে বলেছি না নিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

যাযাদি/ এম