চট্টগ্রামে জব্বারের বলীখেলা ২৫ এপ্রিল, প্রধান সড়কে বসছে না মেলা

প্রকাশ | ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১৫:১৭

চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: যায়যায়দিন

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী আব্দুল জব্বারের বলীখেলার ১১৬ তম আসর বসছে আগামী ২৫ এপ্রিল (শুক্রবার) বিকেল ৪টায় ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে। বলীখেলা ঘিরে ২৪, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল লালদীঘি মাঠ ও আশপাশে বসবে দেশের অন্যতম বড় বৈশাখী মেলা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) বেলা ১২টায় নগরীর লালদীঘিপাড়স্থ সিটি করপোরেশন লাইব্রেরি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বলীখেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব ও আবদুল জব্বার সওদাগরের নাতি শওকত আনোয়ার বাদল।
 
শওকত আনোয়ার বলেন, ১৯০১ সালের ১২ বৈশাখ আমার দাদা, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের সংগঠক মরহুম আব্দুল জব্বার সওদাগর এই বলীখেলার সূচনা করেন। যুবকদের শারীরিকভাবে প্রস্তুত করার পাশাপাশি জাতীয় চেতনা জাগাতে বলীখেলা ছিল একটি কৌশলী উদ্যোগ।

তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রামের সংস্কৃতির অংশ হয়ে ওঠা এই আয়োজনকে ঘিরে এবারও তিন দিনের বৈশাখী মেলায় নানা আয়োজন থাকবে। এ বছর বলীখেলায় অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১০০ জন বলী ইতোমধ্যে যোগাযোগ করেছেন। তারা ২৪ তারিখ মাঠে উপস্থিত হবেন। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক বলীর জন্য সম্মানীও থাকবে।

গ্রামীণফোনের চট্টগ্রাম সেন্ট্রাল রিজিয়নের রিজিওনাল হেড মোহাম্মদ মোরশেদ আহমেদ বলেন, জব্বারের বলী খেলার মতো একটি ঐতিহ্যবাহী ও জনপ্রিয় আয়োজনে অংশ হতে পেরে গ্রামীণফোন গর্বিত। এর আগেও আমরা এই আয়োজনের পৃষ্ঠপোষক ছিলাম। আমরা স্থানীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সমাজ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে এমন আয়োজনের পাশে থাকতে সংকল্পবদ্ধ গ্রামীণফোন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, লালদীঘি মাঠে বলীখেলার জন্য মূল রিং স্থাপন করা হবে। নগরীর কোতোয়ালি মোড়, আন্দরকিল্লা, সিনেমা প্যালেস ও বদরপাতি এলাকা ঘিরে বসবে বৈশাখী মেলার শতাধিক স্টল। শিশুর পুতুল-খেলনা থেকে শুরু করে খাবার, হস্তশিল্প, পোশাক, কসমেটিকসহ নানান সামগ্রী পাওয়া যাবে এই মেলায়। এবার আন্দরকিল্লা থেকে কোর্ট বিল্ডিং পর্যন্ত প্রধান সড়কে বৈশাখী মেলার স্টল না বসানোর পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। বলীখেলার মূল পর্বের উদ্বোধন করবেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ। বিজয়ী বলীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথি থাকবেন বলীখেলার পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা।  

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আব্দুল জব্বারের বলীখেলাকে ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে লালদীঘি চত্বরকে তার নামে নামকরণ ও বলীখেলা একাডেমি প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনাও রয়েছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বলীখেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ও প্রধান বিচারক হাফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ ও সাবেক কাউন্সিলর ইসমাইল বালী প্রমুখ।

যাযাদি/ এসএম