ইউটিউব থেকে আঙ্গুর চাষ শিখেছেন দেলোয়ার
প্রকাশ | ২২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৯

ইউটিউব এখন শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, চাষাবাদ, উদ্যোক্তা হওয়া কিংবা নতুন কিছু শেখার অন্যতম বড় উৎস হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তির এই যুগে ইউটিউব দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সফল আঙুর চাষ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামের প্রবাস ফেরত যুবক দেলোয়ার হোসেন। এবার তিনি ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার আঙুর বিক্রির আশা করছেন।অনেকেই আসছেন তার কাছ থেকে আঙ্গুর চাষের পরামর্শ নিতে।আর কৃষি অফিস বলছে, দেলোয়ারকে দেয়া হচ্ছে প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
জানা গেছে, দেলোয়ার হোসেন কয়েক বছর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের করিমপুরে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে প্রথমবারের মতো আঙুর চাষ দেখেন। সেখানকার কৃষকদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি দেশে ফিরে নিজ উদ্যোগে আঙুর চাষে মনোনিবেশ করেন। প্রথমে কয়েকটি চারা সংগ্রহ করে বাড়ির পাশে মাত্র ১০ কাঠা জমিতে আঙুরের বাগান গড়ে তোলেন তিনি।
দেলোয়ার জানান, শুরুর দিকে কৃষি বিভাগ কিংবা এলাকাবাসীর কাছ থেকে তেমন কোনো সহযোগিতা না পেলেও দেলোয়ার হোসেন ফেসবুক ও ইউটিউব দেখে নিজের মতো করে চাষ চালিয়ে যান।অনেকে তাকে কটাক্ষ করলেও থেমে যাননি তিনি। বরং চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিয়েছেন আঙুর চাষকে।
বর্তমানে তার বাগান দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ ছুটে আসছেন। তারা ফল দেখে মুগ্ধ হয়ে চারা সংগ্রহ করছেন।বাগান তৈরিতে তার খরচ হয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা। আর এবার তিনি ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার আঙুর বিক্রির আশা করছেন।
দেলোয়ারের বাবা জালাল উদ্দিন খাঁ বলেন, ছেলে প্রবাস থেকে ফিরে নিজেই ইউটিউব দেখে আঙুর চাষ শুরু করে। আমি অবসর সময়ে তাকে সহযোগিতা করি।অনেকেই তার কাছে আসেন পরামর্শ নিতে। চাকরীর আশা না করে সফল উদ্যক্তা হবার আহবান জানান দেলোয়ার।
গ্রামের যুবক রুবেল আহমেদ জানান, দেলোয়ারের সফলতা তাদের অনুপ্রাণিত করেছে। ফলন দেখেও মুগ্ধ। তিনি আঙ্গুর চাষে পরামর্শ নিচ্ছেন এবং ১০ কাঠা জমিতে আঙ্গুর চাষ করবেন। একই কথা জানালেন সাহারবাটির আলিম ও আক্তার।
গাংনী উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার রাসেল রানা জানান, কৃষি বিভাগ থেকে দেলোয়ারকে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয়। তার সফলতা কৃষি বিভাগ গর্বিত। ফলের মিষ্টতা নিশ্চিত হলে এই চারা পুরো গাংনী উপজেলাসহ জেলায় ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
যাযাদি/ এসএম