বাকেরগঞ্জ উপজেলার কারখানা নদীর ( রঘুনদ্ধী) বালু মহলের বৈধ ইজারাদারদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে । সরকার কর্তৃক বাংলা ১৪৩২ সালের পহেলা বৈশাখ বৈধ ইজারার মাধ্যমে এক বছরের জন্য ইজারা পাওয়ার পর থেকেই ক্রস ফায়ারে নিহত সন্ত্রাসী নান্টুর সহযোগী শওকত, আল আমিন, আরাফাত সহ কয়েকজন সন্ত্রাসী ইজারাদারদের কাজ থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে আসছে। তাদেরকে চাঁদা না দেওয়ায় সন্ত্রাসীরা ইজারাদারের লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দেয় এবং বালু উত্তোলনের পয়েন্টে গিয়ে তারা লোড ড্রেজারের স্টাফদের মারধর করে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এ ঘটনায় সোমবার( ২১এপ্রিল ) ইজারাদারদের পক্ষে মিজানুর রহমান বাদি হয়ে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ইজারাদারদের একজন জামাল হোসেন বিপ্লব বলেন, ইতিপূর্বে কয়েকবছর যাবত কবাই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম বাদলের নেতৃত্বে কারখানা নদীর ওই স্থান থেকে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার বালু চুরি করে আসছিল। ৫ আগষ্ট আওয়ামী সরকার পতনের পরেও সে তার একটি সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে অবৈধভাবে ওই নদী থেকে বালি উত্তোলন করা অব্যাহত রাখে।
বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, মিজানুর রহমান মোল্লা নামের একজনের লিখিত অভিযোগের পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তন্ময় হালদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বরিশাল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বৈধ উপায়ে কারখানা নদীর (রঘুনদ্ধী) বালু মহলের ইজারা দেওয়া হয়েছে। সেখানে বালু উত্তোলনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে