চীনের অর্থায়নে রংপুর বিভাগে এক হাজার শয্যার প্রস্তাবিত মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি পঞ্চগড়ে স্থাপন করার দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে মুসল্লিরা।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর পঞ্চগড় চৌরঙ্গী মোড়ে এই কর্মসূচি পালন করে তারা। কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন এলাকার হাজারও মুসল্লির অংশ নেন। পঞ্চগড় জেলার সর্বস্তরের মুসল্লিবৃন্দের আয়োজনে জুমআর নামাজের পর বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুসল্লিরা চৌরঙ্গী মোড়ে জমায়েত হন। সেখানে অবস্থান ও মানববন্ধন কর্মসূচিতে বিভিন্ন মসজিদের খতিবদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মাজেদুর রহমান, শাহিনুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, দেলোয়ার হোসেন, লিয়াকত আলী ও ময়নুল ইসলাম। অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য দেন বিএনপি নেতা আব্দুল্লাহ আল মামুন রণিক ও ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, পঞ্চগড়ে এক হাজার শয্যার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল করার যৌক্তিকতা সবচেয়ে বেশি। উত্তরাঞ্চলের মধ্যে স্বাস্থখাতে সবচেয়ে পিছিয়ে এ জনপদ। সরকারি হাসপাতালগুলোতে পদের তিন ভাগের একভাগও চিকিৎসক নেই। রাত দুপুরে রোগী নিয়ে ছুটতে হয় রংপুর দিনাজপুর কিংবা ঢাকা। পথেই মারা যায় অনেক রোগী। এভাবেই বছরের পর বছর বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে পঞ্চগড়। ২০২৩ সালে পঞ্চগড়ে চীন ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে এক হাজার শয্যার একটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তি স্থাপন করা হলেও নানা ষড়যন্ত্র ও ভারতীয় মিডিয়ার নানা গুজবের কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি। এখনো ওই হাসপাতাল করার ৩৫ একর জমি পড়ে রয়েছে।
এছাড়া জেলায় এক হাজার শয্যার হাসপাতাল করার মতো খাস জমিও রয়েছে। তাই চীনের এই হাসপাতাল পঞ্চগড়ে করার দাবি জানান তারা। এই জেলায় মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালটি হলে শুধু উত্তরাঞ্চল নয় নেপাল, ভুটান ও ভারতের একটি অংশের মানুষ পড়াশুনার পাশাপাশি চিকিৎসা সুবিধা নিতে পারবে। এলাকাটি চিকিৎসার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে। বাড়বে সরকারের আয়ও।
যাযাদি/ এসএম