হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ২টি অবৈধ ইটভাটা জেলা প্রশাসন গুঁড়িয়ে দেয়ার কিছুদিনের মধ্যেই বিকল্প চুলা তৈরী করে ফের চালু করেছেন ইটভাটা মালিক পক্ষ। এতে জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাদের কুটিঁর জোর নিয়েও অনেকে প্রশ্ন তোলেছেন। গুড়িয়ে দেয়ার সময় ইটভাটার চুলা ও কিছু কাচাঁ ইট ধ্বংস করা হয়েছিল।
কিন্তু কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে বিকল্প চুলা তৈরী করে পুণঃরায় ইট পুড়ানো শুরু করেছেন। এতে পরিবেশ অধিদপ্তরের কিছু অসাধু কর্তা ব্যক্তিদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, হবিগঞ্জ জেলায় মোট ১১৯টি ইটভাটার মধ্যে ৩০টির পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই এবং ৫০টির লাইসেন্স মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে আরও আগেই। পরিবেশগত ছাড়পত্রের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ৩০টি ইটভাটার মধ্যে ইতিমধ্যে ২৬টি ইটভাটা বন্ধ করা হয়েছে। সম্প্রতি পরিবেশগত ছাড়পত্র মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া নবীগঞ্জ উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অবস্থিত কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমানের মলিকানাধীন গোল্ড ব্রিকস ও বাংলাবাজার এলাকায় অবস্থিত ডাঃ মোঃ খয়রুল ইসলামের মালিকানাধীন মাস্টার ব্রিকস বন্ধে জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠি পাঠায় পরিবেশ অধিদপ্তর।
১১ মার্চ দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলার বাংলাবাজার এলাকায় অবস্থিত গোল্ড ব্রিকস ও মাস্টার ব্রিকসে অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেয় প্রশাসন। এ সময় ইটভাটার চুলা ও কাঁচা ইট ধ্বংস করা হয়।
জেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে যৌথ বাহিনী ইটভাটা দু’টি গুড়িয়ে দেয়ার পরও তারা প্রভাবকাটিয়ে প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করেই ইটভাটা ফের চালু করেছেন। এতে স্থানীয় জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
যাযাদি/ এমএস