গুলিতে নিহত যুবকের মরদেহ গভীর রাতে ফেরত দিল বিএসএফ

প্রকাশ | ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ১২:০৫

হাতীবান্ধা (লালমনিরহাট) সংবাদদাতা
ছবি: যায়যায়দিন

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক হাসিবুল ইসলামের মরদেহ গভীররাতে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টায় বাংলাদেশের বিজিবি ও পুলিশের নিকট মরদেহ তুলে দেয় বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশ।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৮ টায় ভারতের কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় হাসিবুল। ওইদিন দুপুর দিকে তাকে গুলি করে ভারতীয় বিএসএফ। পরদিন বৃহস্পতিবার ভারতের কোচবিহারের হাসপাতালে লাশের ময়না তদন্ত শেষে রাত ১২ টার দিকে হাসিবুলের মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৮১ নম্বর কোচবিহার জেলার শীতলকুচি থানার সীমান্ত ও বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটপ্রামের খারিজা জোংড়া সীমান্তবর্তী স্থান দিয়ে লাশ হস্তান্তর সম্পন্ন করা হয়। এ সময় ভারতের ১৫৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের মহেশমারী ক্যাম্পের কমান্ডার রাজ কুমার, শীতলকুচি থানার ওসি ও বাংলাদেশের ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের খারিজা জোংড়া ক্যাম্পের প্রতিনিধি সুবেদার রেজাউল ইসলাম, পাটগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তাজরুল ইসলাম এবং নিহত যুবকের বাবা জাহিদুল ইসলাম ও চাচা রশিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

বিএসএফ ও ভারতীয় পুলিশের নিকট মরদেহটি বুঝে নেয় বিজিবি ও বাংলাদেশের পুলিশ। রাতই নিহতের বাবা ও চাচার নিকট হস্তান্তর করে থানা পুলিশ।

উল্লেখ্য. গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পিলার ৮৯৪ নম্বর প্র্রধান ও ৬ নম্বর উপ-পিলারের নিকটবর্তী হাতীবান্ধা উপজেলার সিংগীমারী সীমান্ত এলাকায় ঘাস কাটতে যায় কৃষক হাসিবুল ইসলাম। এ সময় ভারতের ১৫৭ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ফুলবাড়ি ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। এতে গুলি লেগে হাসিবুল মাটিতে পড়ে যায়। এ সময় বিএসএফ সদস্যরা তাঁকে রাইফেলের বাট ও হাতে থাকা লাঠি দিয়ে মেরে টেনেহিঁচড়ে ভারতের অভ্যন্তরে নিয়ে যায়। গুরুত্বর আহত অবস্থায় প্রথমে হাসিবুলকে শীতলকুচি থানার স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সন্ধ্যায় অবস্থার অবনতি হলে কোচবিহারের এমজেএন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিলে সেখানে মারা যায় হাসিবুল।

হাতীবান্ধা থানার ওসি মাহমুদুননবী জানান, ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ বাংলাদেশের পুলিশ এবং বিজিবির নিকট লাশ হস্তান্তর করে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাতই লাশ নিহতের বাবা এবং চাচাকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। রাতেই হাসিবুলের পরিবার তার দাফন সম্পন্ন করেন। 

এ ব্যাপারে বর্ডারগার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৬১ ব্যাটালিয়ন (তিস্তা-২) এর সংশ্লিষ্ট বিজিবি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে তাঁরা কথা বলতে রাজি হননি।

যাযাদি/ এমএস