গাজীপুরের কালিয়াকৈর মৌচাকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানার বাংলো বাড়ি এখন পার্কে পরিণত হয়েছে।
অথচ ৫ আগষ্টের আগে প্রতিবছর দুই বোন সময় কাটাতে আসতেন এখানে। জাতীয় এবং জেলা আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক ব্যক্তিরা বিভিন্ন বৈঠক করতেন। বাংলোটি ডুপ্লেক্স, শান বাঁধানো পুকুরঘাট, বাগানসহ নান্দনিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর। এখানে এক সময় সাধারণ মানুষের প্রবেশ ছিল সংরক্ষিত। বিশাল বাংলোবাড়িটি এখন শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা ও মাদকসেবীদের আড্ডাখানা আর রাতে প্রতিতাদের আনাগোনা রয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
জানা গেছে, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার পরেই বাংলোবাড়িতে হামলা করে দুর্বৃত্তরা। বাংলোতে ঢুকে ভাঙচুরের পাশাপাশি আগুন দেয় ফাইলপত্রে। লুট করে নেয় টিভি, ফ্যান, এসি, ফ্রিজসহ আসবাবপত্র। নষ্ট করে সব স্থাপনা। এরপর থেকে এটি অরক্ষিত রয়েছে।
সরেজমিন দেখা গেছে কোনো গেট ও পাহারাদার নেই। ভেতরে বিশাল সুইমিং পুলসহ বাংলোবাড়ি, বাংলোটি সম্পূর্ণ পোড়া। দরজা জানালাসহ কোনো আসবাবপত্র নেই। প্রতিটি কক্ষে পোড়া চিহ্ন।
বাড়িটির সামনে বিশালাকৃতির শান বাঁধানো পুকুর। কয়েকজন পুকুরের ঘাটে বসে আছে, পুকররের পাশের মাঠে ক্রিকেট খেলছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কেউ খেলছেন ফুটবল। খেলতে আসা তরুণরা বলছে আমাদের তেমন কোনো মাঠ নেই। এখানে অনেক জায়গা এবং সুন্দর পরিবেশ এজন্য এখানে খেলতে আসি। অনেকেই আসে, কেউ খেলাধুলা করে, কেউ আড্ডা দেয়, ঘুরাফেরা করে।
এলাকাবাসী জানান, বাংলোবাড়িতে একসময় শেখ রেহানা, শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাকর্মীরা আসতেন। মাঝেমধ্যেই রাতে ভিআইপিরা আসতো, তখন বাংলোর চারপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি থাকত। ভোরেই গাড়িগুলো চলে যেত, কখনও দু-এক দিন থাকতেন তারা। তখন সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার ছিল না। ঘুরতে আসা সাধারণ মানুষ বলেন, বর্তমানে শুধু আশেপাশে থেকে না, দূরদূরান্ত থেকেও মানুষ ঘুরতে আসেন বাংলো বাড়িটিতে।
যাযাদি/ এস