পুলিশ অভিযান চালিয়ে চোর লিটন ঢালীর তথ্য মতে ১৪ টি চোরাই গরু উদ্ধার করেছেন। একই সঙ্গে চোর লিটন ঢালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার বরগুনা পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রাহিম খলিল আমতলী থানায় প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার বলেন, মাদক, সন্ত্রাস, চুরি, ডাকাতি ও অপহরণসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরলসভাবে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশের সক্রিয় কাজের ফলেই এ চোরাই গরু উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন, চোর চক্রের মুল হোতাকেও খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছুদিন ধরে গরু চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। গরু চোরদের উৎপাতে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী।
গত শনিবার রাতে আমতলী সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ আমতলী গ্রামের লুৎফর হাওলাদারের গোয়াল ঘর থেকে চারটি গরু চুরি হয়। এ ঘটনায় রবিবার তিনি আমতলী থানায় মামলা দায়ের করেন। বরগুনা পুলিশ সুপার মোঃ ইব্রাহিম খলিলের নির্দেশে আমতলী থানায় পুলিশ চোর চক্র গ্রেপ্তারে অভিযান চালায়।
পরে তারা ওইদিন রাতে উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের চাউলা বাজার থেকে চারটি গরুসহ চোর লিটন ঢালিকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার দেয়া তথ্য মতে আমতলী ও পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে ১০ টি গরু উদ্ধার করে। পুলিশের উদ্ধারকৃত ১৪ টি গরুর মুল্য আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা। পুলিশ জানায় গ্রেপ্তারকৃত চোর লিটন ঢালী আন্তঃজেলা চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য।
সোমবার উদ্ধারকৃত ১৪ টি গরু ও চোর লিটন ঢালীতে পুলিশ আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করেছে। চোর লিটন ঢালীর বিরুদ্ধে ঢাকার কোতয়ালী ও আমতলী থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। প্রেস ব্রিফিংএর আরো উপস্থিত ছিলেন বরগুনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম, আব্দুল হালিম, সহকারী পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ।
আমতলী থানার ওসি মোঃ আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ কঠোর পরিশ্রম করছে। সকল অপরাধ নিয়ন্ত্রণে অভিযান অব্যহত থাকবে।
যাযাদি/ এম