কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের সোনাইছড়ি খালে ২ নম্বর বাঁধ নির্মাণ করা হলে সেচ সুবিধায় চাষের আওতায় আসবে ৫শত একর জমি। এতে উপকৃত হবে হাজারো কৃষক।
আজ ২ ডিসেম্বর সোমবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সোনাইছড়ি খালে চার নম্বর ওয়ার্ড উপরপাড়া এলাকায় সেচের সুবিধার্থে সরকারীভাবে একটি স্লুইসগেট নির্মাণ করা হলে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে সেটি এখন অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে। ফলে খালের গতিপথ পরিবর্তন হয়ে পড়ে।
এদিকে প্রতিবছর এই খালে বাঁধ দিয়ে কৃষকদের সেচ সুবিধা দিয়ে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত স্থানীয় একটি চক্র।
এবছর স্থানীয় কৃষক ও জমির মালিকরা মিলে বাঁধ দিয়ে কৃষকদের সুলভমুল্যে সেচ সুবিধা দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ নিয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি অনুমতির আবেদন পত্র দাখিল করা হয়েছে।
অপরদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, এবারও কৃষকদের জিন্মি করে টাকা হাতিয়ে নিতে স্থানীয় একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। এর অংশ হিসেবে স্লুইসগেট এলাকায় একটি লাল পতাকা টানিয়ে দিয়ে যায়।
বাঁধ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় জমির মালিক আবদুল লতিফ ও সাধারণ সম্পাদক মাস্টার সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সোনাইছড়ি খালের ২ নম্বর বাঁধটি দীর্ঘদিন স্থানীয় কৃষকদের তত্বাবধানে ছিল। গত সরকারের আমলে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সেচ প্রকল্পটি দখল করে কৃষকদের কাছ থেকে খেয়াল খুশিমত সেচ খরচ আদায় করত। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এলাকার সকল কৃষক ও জমির মালিক মিলে উক্ত বাঁধ নির্মাণ করে সেচকাজে সহায়তা করতে ঐক্যমত পোষন করে।
কৃষক কলিম উল্লাহ জানান, এই সোনাইছড়ি খালে বাঁধ দিয়ে সেচ সুবিধা পেলে বেরো ধান, সবজি ক্ষেত ও গোলাপ চাষে আগ্রহী হবেন।
বরইতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ছালেকুজ্জামান জানান, বিগত বছরগুলোতে একটি চক্র নিজেদের খুশি মত বাঁধ দিয়ে কৃষকদের জিন্মি করে বিশাল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিত। এবছর স্থানীয় কৃষক, জমির মালিক ও স্থানীয় লোকজনের সমন্বয়ে একটি কমিটি করে এই বাঁধ নির্মানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। যাতে কৃষকরা কোন ধরনের হয়রানীর শিকার না হয়।