আইনজীবী আলিফ হত্যা মামলায় ৯ আসামিকে শ্যোন অ্যারেস্ট
প্রকাশ | ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:৫৬
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় ৯ জন আসামিকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালত তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর (শ্যোন অ্যারেস্ট) আদেশ দেন।
গ্রেপ্তার দেখানো আসামিরা হলেন, সুমিত দাশ, নয়ন দাশ, গগন দাশ, বিশাল দাশ, রাজীব ভট্টাচার্য্য, সনু মেথর, রুমিত দাশ ও দুর্লভ দাশ।
এর আগে পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় মাধ্যমে আসামিদের বিকেলে হাজত খানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আদালতে প্রবেশ মুখ থেকে আদালতের চারপাশে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। এসময় আদালতে আইনজীবীরা বিক্ষোভ ও ইসকন নিষিদ্ধ দাবি করে নানা ধরণের স্লোগান দেন।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজুর রহমান জানান, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার মামলায় ৯ জন আসামিকে গ্রেপ্তার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ। আদালত শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন। শুনানি শেষে তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে, আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার মামলায় দুই আসামির পক্ষে ওকালতনামা জমা দিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) নেজাম উদ্দিন। ঘণ্টাব্যাপী তাঁকে অবরুদ্ধ করে পদত্যাগপত্র আদায় করেন আইনজীবীরা। এ ঘটনায় মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরেরও পদত্যাগ দাবি করেছেন তারা। সোমবার (২ নভেম্বর) দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম আদালত ভবনে মহানগর পিপির কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে, গত ২৬ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করার পর তাকে কারাগারে পাঠানোর জন্য প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। এসময় তার অনুসারীরা বিক্ষোভ করলে পুলিশ ও বিজিবি লাঠিপেটা এবং সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে এদিন বিকেলে রঙ্গম সিনেমা হল সংলগ্ন এলাকায় কুপিয়ে অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়। তিনি লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নের ফারাঙ্গা এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
যাযাদি/ এম