কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা খিরা চাষ করে লাভবান হচ্ছে গোবিন্দপুর,ভাওরখোলা ,চন্দনপুর, মানিকারচর, রাধানগর ইউনিয়নের কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং খিরার ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে কৃষকদের মুখে।
কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় গত বছর থেকে এ বছরে খিরা চাষ বেড়েছে এ অঞ্চলে। খিরা চাষ করে অনেক কৃষকই এখন স্বাবলম্বী হয়েছে।
খিরাগাছের যত্নআত্তি ও খিরা সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।
বিস্তৃর্ণ প্রান্তরজুড়ে সবুজ মখমলের মত বিছিয়ে রয়েছে খিরার গাছ। সবুজ পাতার মাঝে হলুদ ফুলে ভ্রমর মৌমাছির উড়াউড়ি। আর খিরার ডগায় ডগায় রয়েছে সবুজ কচকচে খিরা।
এদিকে বদিনাথপুর শিপনগরের কৃষক ছামেদ মিয়া, মোতালেব মিয়া জানান, অন্য ফসলের চেয়ে খিরা চাষে অধিক লাভ হওয়ায় খিরা চাষের প্রতি তাদের আগ্রহ বেড়েছে।
তারা আরো জানান, এক বিঘা জমিতে খিরা চাষ করতে ২৫ হাজার টাকামত খরচ হয়। আর বাজারজাত ও শ্রমিক খরচসহ আরো ৫ হাজার টাকা খরচ হয়। সব মিলিয়ে ৩০ হাজার টাকার মতো প্রতি বিঘায় খিরা চাষ করতে খরচ হয়। পরে প্রতি বিঘা খিরা বিক্রি করতে পারি ৮০থেকে ৯০ হাজার টাকা। এতে আমাদের ৫০-৭০ হাজার টাকা মত লাভ থাকবে।
অন্য দিকে মেঘনা উপজেলার চারদিকে তাকালে শুধু খিরা আর খিরা ক্ষেত দেখা যায়। নারী পুরুষ ও শিশু খিরা ক্ষেতে কাজে ব্যস্ত। কেউবা খিরা তুলছে, কেউবা বাছাই করছে আবার কেউবা বস্তায় ভরছে।
খিরা ক্ষেত থেকে খিরা তুলতে শাহিন মিয়া জানান, খিরা চাষে খরচ কম অধিক লাভ । তাই এ বছর খিরা চাষ করে ভালো দাম পাওয়ায় আমরা লাভবান। আগামীতে আরো বেশি জমিতে চাষ করবো।
খিরা কিনতে আসা পাইকার রুবেল ও হৃদয় জানান, এ বছর ১৪ শ টাকা মন প্রতি খিরার দাম ধরা হয়েছে। ঢাকা যাত্রাবাড়ী যাতায়াত ভাড়া ও অন্যান্য খরচসহ প্রতি মন ১৫ শ টাকা খরচ পড়ে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৪০ টাকা ধরে বিক্রি করছি। কেজি ৫টাকা ও মন প্রতি ২০০ টাকা লাভ হচ্ছে। এ বছর দাম ভালো হওয়ায় এবং খুচরা বিক্রি বেশি।
মেঘনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহ্ আলম বলেন, এবার মেঘনা উপজেলা আজ পর্যন্ত ২২৭ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ হয়েছে। প্রতি সেক্টরে ২৫ টন করে উৎপাদন হচ্ছে। গত বছরের চেয়ে ফলন ও দাম বেশি হওয়ায় কৃষকের লাভ হয়েছে। স্থানীয় চাষিদের মধ্যে খিরা চাষের আগ্রহ বাড়ছে বলেও জানান তিনি।
যাযাদি/এসএস