রোববার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

কেরানীহাটের চাঁদা দাবি ও অগ্নিসংযোগের মূলহোতা সনাক্ত, ভগ্নিপতি গ্রেপ্তার

সাতকানিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
  ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৩৮
ছবি: যায়যায়দিন

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার কেরানীহাট বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে 'এলাকার বাদশা' পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজির মূলহোতার অন্যতম সন্দিগ্ধ সহযোগী মো. রিয়াজ উদ্দিন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন থানা পুলিশ।

গত শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাতে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোয়ালিয়া পাড়ার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রিয়াজ উল্লিখিত এলাকার মো. হোসেনের ছেলে এবং পুলিশ কর্তৃক সনাক্তকৃত মূলহোতা মো.এমরানের ভগ্নিপতি।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক মুমিনুন নিসা খানম এর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী শেষে আদালতের নির্দেশে রিয়াজকে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়। তবে, মূল হোতা এমরান যেকোনো মুহূর্তে গ্রেপ্তার হতে পারে বলে থানার ওসি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান জানিয়েছেন। অপরদিকে, পুলিশ মূল আসামিকে সনাক্ত ও তার অন্যতম সহযোগীকে গ্রেপ্তারের খবরে ব্যবসায়ীরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ও হুমকি প্রদানকারীর সিমগুলোর সিডিআর ও রেজিস্ট্রেশন পর্যালোচনা করে সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা রিয়াজ উদ্দিন ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। এ সময় ঘটনার মূলহোতা তার শ্যালক মো. এমরানের নাম প্রকাশ করে। জবানবন্দীতে রিয়াজ ও তার (এমরান) পরিবারের লোকজনের এনআইডি ব্যবহার করে চাঁদা দাবী করেছে বলে রিয়াজ আদালতকে জানায়।

সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল খান বলেন, চাঁদাদাবীর মূল হোতা এমরান ৬ মাস পূর্বে টেকনাফ এলাকা থেকে একইভাবে ব্যবসায়ীদের হুমকি-ধমকি প্রদান ও ব্যবসায়ী কামালের দোকানে অগ্নিসংযোগসহ বিকাশের মাধ্যমে চাঁদা আদায় করে। তার (এমরান) বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। আশা করি সে যে কোনো মুহূর্তে পুলিশের হাতে ধরা পড়বে।

উল্লেখ্য, বিগত দুই মাস ধরে 'এলাকার বাদশা' পরিচয় দিয়ে কেরানীহাটের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনে দাবীকৃত চাঁদার টাকা না দিলে দুইটি দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা থানায় একটি অগ্নিসংযোগের মামলা, একটি জিডি ও ১৫ অভিযোগ দায়ের করেন। তবুও ঘটনায় জড়িতরা সনাক্ত না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা আতঙ্ক-উৎকণ্ঠা এমনকি অনেকেই মোবাইল ফোন বন্ধ করে আত্মগোপনে চলে যায়। অবশেষে পুলিশ মূলহোতাকে সনাক্ত করতে পারায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে ব্যবসায়ীরা।

যাযাদি/এসএস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে