ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৩ টি বাড়ি ভাঙচুর ও কমপক্ষে ১২ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে ।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে ৯ টা পর্যন্ত ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের খাপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের খাপুরা গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুটি পক্ষ রয়েছে। একপক্ষের নেতৃত্ব দেন খাপুরা গ্রামের সাধু মাতুব্বর ও অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন একই গ্রামের মিরাজ সিকদার। গত কয়েকদিন আগে সাধু মাতুব্বরের দলের আজিম ফকিরের সাথে মিরাজ সিকদারের দলের রিপন সিকদারের দোকানের কর্মচারীর কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার (২৭ নভেম্বর) আজিম ফকির (১৯) কে পিটিয়ে আহত করে মিরাজ সিকদারের পক্ষের লোকজন। এরপর থেকে এলাকায় উত্তেজনা চলছিলো। শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকাল ৭ টার দিকে দুই পক্ষের লোকজন মুনসুরাবাদ বাজারে তর্কাতর্কিতে জড়ায়। এরপরই দুই পক্ষের কয়েকশত লোক ঢাল, সড়কি, রামদা, ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষ শুরু করে। এ সময় মিরাজ সিকদারের দলের চুন্নু সিকদার, নুরু শেখ ও ফরহাদ শেখের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। এ সময় ফরহাদ শেখের একটি মাইক্রোবাস ভাঙচুর হয়। সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত হয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সাধু মাতুব্বরের দলের রোমান মিয়া (২৬) এবং মিরাজ সিকদারের দলের শিপন সিকদার (৩০)। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মিরাজ সিকদারের দলের বিপ্লব ফকির (৩০) ও নুর ইসলাম (৪৫)। এছাড়া অন্য আহত ব্যক্তিরা স্থানীয় পর্যায়ে চিকিৎসা নিয়েছেন ।
ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক মোঃ শহীদ হোসেন জানান, আহত দুই জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন ভর্তি রয়েছে। ৩ জন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের শরীরে কোপ, ইটপাটকেলের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. আসাদুজ্জামান বলেন, খাপুরা গ্রামের সাধু মাতুব্বর ও মিরাজ সিকদারের পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঠুনকো বিষয় থেকে প্রথমে একজনকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনা ঘটে। এরপর সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। আমি বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছি।
ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মোকছেদুর রহমান বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
যাযাদি/এসএস