চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক: কুবি উপাচার্য

প্রকাশ | ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৬ | আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:৪৯

স্টাফ রিপোর্টার, কুমিল্লা
ছবি: যায়যায়দিন

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ছিল সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক। এই দেশে মানুষের বসবাসের জন্য উপকারিতা ও মানুষের শান্তি, সেটা যদি মানুষ পায়, তবেই জুলাই বিপ্লবের জন্য শহীদ ও আহতরা শান্তি পাবে।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে আলোচনা সভা এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. হায়দার আলী।

কলেজটির উচ্চ মাধ্যমিক শাখায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপচার্য। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল বাসার ভূঁঞা বলেন, আগামীর বাংলাদেশ গড়তে কোনো অন্যায় দেখামাত্র ছাত্র-ছাত্রীরা যেনো জুলাই বিপ্লবের মতো অন্যায় বা বৈষম্যের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। যারা আহত তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন রেজা ডা. মো. সারোয়ার আকবর, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবদুল মজিদ, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক গাজী মুহাম্মদ গোলাম সোহরাব হাসান ও যুগ্ম সম্পাদক মো. মুনছুর হেল্লাল প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের নজরুল হলে ছাত্রলীগের ৪ ঘণ্টার নির্যাতনের শিকার হওয়া ডিগ্রি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. তামিম হোসেন। তখন সারাদেশে তামিমের ওপর বর্বর নির্যাতনের ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে। বক্তব্যে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের ছবি তোলায় তার উপর ভয়াবহ নির্যাতনের বর্ণনা দেন তিনি। 

বক্তব্যে তামিম হোসেন বলেন, আমার শরীরের এমন কোন স্থান নেই যেখানে আঘাত করেনি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই ঘটনার পরেও তৎকালীন অধ্যক্ষসহ কেউই আমার খোঁজ নেয়নি। আমাকে হাসপাতালেও রাখতে বাধা দিয়েছিল ছাত্রলীগ। এসব দিনের কথা মনে হলে আৎকে উঠি। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় প্রায় চার মাসের বেশি সময় পার হলেও এখনও কেউই কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমার মামলার আবেদন পর্যন্ত গ্রহণ করেনি। স্বাধীন বাংলাদেশে আমি বিচার চাই।

এসময় কলেজের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা নির্যাতনের স্মৃতি তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন কলেজের উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি শাখার শিক্ষারা।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে আলোচনা সভায় আন্দোলনে আহতদের স্মৃতিচারণের পর বক্তব্য দেন অতিথিরা। পরে অনুষ্ঠিত হয় গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কলেজের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সদস্যরা অনুষ্ঠিত হয় গণঅভ্যুত্থানের আলোকে গান, আবৃত্তি, বিতর্ক, অভিনয় ও নৃত্য পরিবেশ করে।

যাযাদি/ এআর