শুক্রবার শহীদ ক্যাপ্টেন আবদুস সবুর খানের ৫৩ তম শাহাদতবার্ষিকী
প্রকাশ | ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:১২
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, পাকিস্তান বিমান বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন ৩৩, ৩৪, ৩৫ ও ৩৬ নং গ্রুপ এর যৌথ ফিল্ড কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবদুস সবুর খান এর ৫৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী শুক্রবার ( ২৯ নভেম্বর)।
শহীদ আবদুস সবুর খান এর ৫৩ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নে তাঁর নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর সমাধিতে সকাল ১০টায় পুষ্প মাল্য অর্পণ সহ বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবদুস? সবুর খান সৃতি ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি পালিত হবে। বিকালে বরমা ত্রাহি মেনকা উচ্চ বিদ্যালয়ের হল রুমে খতমে কুরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং শহীদ আব্দুস সবুর খান'র স্মরণে আলোচনা সভা ও কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শহীদ আব্দুস সবুর খান চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার বরমা ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৫০ সালে ২ জুন জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি ১৯৬৭ সালে বরমা ত্রাহি মেনকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সহিত এসএসসি পাস করেন। একই সালে চট্টগ্রাম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসিতে ভর্তি হন। চট্টগ্রাম কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় ১৯৬৮ সালে তৎকালীন পাকিস্তান বিমানবাহিনীতে যোগ দেন তিনি। পাকিস্তানের বিমান ঘাঁটি কোহাটে তাঁর প্রথম কর্মজীবন শুরু হয়। পরবর্তীতে করাচির গ্রীট রোডস্থ বিমানবাহিনীর ছাউনিতে যোগদান করেন। সেখানে কর্মরত থাকাকালীন বাঙালি সৈন্যদেরকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে সংগঠিত করেন তিনি। ১৯৭১ সালের ২৯ নভেম্বর তৎকালীন পটিয়া, বর্তমান চন্দনাইশের বশরতনগর মাদ্রাসায় স্থিত রাজাকার, আলবদর, আলশামস এর ক্যাম্পে অপারেশন পরিচালনা করেন। সেদিন সম্মুখযুদ্ধে রাজাকারদের একটি বুলেট তাঁর কপালে বিদ্ধ হলে সেখানে ক্যাপ্টেন আব্দুস সবুর খান শহীদ হন। পরদিন ৩০ নভেম্বর সকালে রাজাকার বাহিনীর লোকজন শহীদ আব্দুস সবুরের লাশ শঙ্খ নদীতে ফেলে দেয়।
তিনদিন পর ১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর সকালে শহীদ আব্দুস সবুরের লাশ ভাসমান অবস্থায় চর বরমা এলাকায় শঙ্খ নদীতে পাওয়া যায়। একইদিন বিকেলে নিজ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে শহীদ সবুরের লাশ দাফন করা হয়। দাফনের পর তিনি রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি পান।
যাযাদি/ এআর