নেত্রকোনায় স্ত্রী তমালিকা আক্তার (২০)কে হত্যার দায়ে স্বামী রাসেল মিয়ার মৃত্যু দণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ হাফিজুর রহমান এই রায় দেন। মামলায় অপর আসামী হিমেল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদয়ে আরো এক বছরের কারাদন্ড। অপর এক নারীকে ১ বছরের দণ্ডাদেশ দেন আদালত।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, জেলার বারহাট্টা উপজেলার পারিবারিক কলহের জেরে চরসিংধা ভাটিপাড়া গ্রামের আব্দুল হাসিমের ছেলে একই গ্রামের রহিজ মিয়ার মিয়ার মেয়ে তমালিকা আক্তারকে ২০১৯ সালের বিয়ে করে। বিয়ের পর তমালিকা জানতে পারে তার বিয়ের পূর্বেই স্বামী রাসেল মিয়া রোকিয়া আক্তার নামে আরেক নারীকে গোপনে বিয়ে করেছেন। এনিয়ে তাদের দাম্পত্য জীবনে কলহের সৃষ্টি হয়। তমালিকার স্বামী রাসেল মিয়া তাকে প্রায়ই মারধর করতো। এরপর তমালিকা বাবার বাড়িতে চলে যায়। এ ঘটনার পর গ্রাম্য সালিশে আগের স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তমালিকাকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসেন। ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারী রাতে স্বামী রাসেল মিয়া তার ভাই হিমেল মিয়া ও মা মাজেদা বেগম মিলে ৭ মাসের অন্ত:স্বত্তা স্ত্রী তমালিকাকে জবাই করে হত্যা করে বসতঘরের বারান্দায় ফেলে রাখে। পরদিন বিষয়টি জানাজানি হলে রাসেল মিয়াসহ আসামীরা গা ডাকা দেয়। এ ঘটনার পর ১০ জানুয়ারী তমালিকার পিতা রহিজ মিয়া বাদি হয়ে বারহাট্টা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে একই বছরের ৬ অক্টোবর আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত স্বাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে বুধবার আসামীদের বিরুদ্ধে এই দÐাদেশ প্রদান করেন। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম এবং আসামী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুল কাদের।

দেশটা আমাদের, সবাই দেশটাকে ভালোবাসতে হবে: জেলা প্রশাসক