বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) বাস্তবায়িত ৬টি জাহাজ ক্রয় প্রকল্পের জন্য গৃহীত ঋণ পরিশোধে প্রথম কিস্তির ৪৭৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বাক্ষরিত সহায়ক ঋণ চুক্তি (এসএলএ) অনুযায়ী প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এ চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
বুধবার ( ২৭ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রামে বিএসসির প্রধান কার্যলয়ের কনফারেন্স রুমে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর মাহমুদুল মালেক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে কমডোর মাহমুদুল মালেক বলেন,বিএসসির জন্য জি-টু-জি ভিত্তিতে ৬টি জাহাজ কিনতে বাংলাদেশ সরকার (অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ) ও চায়না এক্সিম ব্যাংকের মধ্যে ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর একটি ঋণচুক্তি সই হয়। এ ঋণের আসলের পরিমাণ ১,১৯৯,৯৯৯,০৭০ ইউয়ান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক হাজার ৪৫৭ কোটি ৬৭ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৪ টাকা। এ ঋণ পরিশোধের জন্য গত ২৭ অক্টোবর অর্থ বিভাগ ও বিএসসির মধ্যে অপর একটি সাবসিডিয়ারি লোন এগ্রিমেন্ট (এসএলএ) সই হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মোট ২ হাজার ৪২৫ কোটি ২ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকারকে (অর্থ বিভাগ) বিএসসি থেকে আগামী ১৩ বছরের মধ্যে পরিশোধ করা হবে। সই হওয়া এসএলএ চুক্তি অনুযায়ী গ্রেস পিরিয়ডকালীন মোট সুদের পরিমাণ ৪৭৫ কোটি ২৫ লাখ ১৩ হাজার ৩৪০ টাকার চেক গত মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রকল্পের আওতায় সংগৃহীত ৬টি জাহাজের মধ্যে ৫টি জাহাজ (এম. ভি. বাংলার জয়যাত্রা, এম. ভি. বাংলার অর্জন, এম. টি. বাংলার অগ্রযাত্রা, এম. টি. বাংলার অগ্রদূত এবং এম.টি বাংলার অগ্রগতি) বর্তমানে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক পরিমন্ডলে পণ্য পরিবহন সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছে। একটি বাল্ক কেরিয়ার ইউক্রেন–রাশিয়া যুদ্ধে রকেটের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে। অবশ্য বিএসসি ওই জাহাজটির বীমা দাবি পুরোপুরি আদায় করতে সক্ষম হয়েছে।
যাযাদি/ এআর