পিলখানায় হত্যাকাণ্ডের দায় চাপিয়ে দেওয়া ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর সদস্যদের চাকুরীতে পুর্ণবহাল ও কারাবন্দীদের মুক্তিসহ ৯ দফা দাবিতে বুধবার গাইবান্ধা ডিবি রোড গানাসার্স মার্কেটের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিডিআর কল্যাণ পরিষদ গাইবান্ধা জেলা এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে।
এর আগে পিলখানা হত্যাকান্ড ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের উদ্দেশ্যে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। নায়েক আলতাফ হোসেনের সভাপতিত্বে মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন সংগঠনের জেলা সমন্বয়ক সি: ভিএম আব্দুর রাজ্জাক, সিপাহী আসাদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মাহফুজ আলম, ইলিয়াস হোসেন, ফিরোজা বেগম প্রমুখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখিত ৯ দফা দাবিগুলো হচ্ছে ২০০৯ সালে ২৫-২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সংগঠিত সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডকে তথাকথিত বিদ্রোহ সংজ্ঞায়িত না করে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে অ্যাখায়িত করা, উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে পিলখানা ঢাকাসহ সারাদেশে বিডিআর ব্যাটালিয়ন ও সেক্টরে গঠিত সকল প্রহসনের বিশেষ আদালতকে নির্বাহী আদেশে বাতিল, চাকুরীচ্যুত সকল পদবীর বিডিআর সদস্যকে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধাসহ চাকুরীতে পুর্নবহাল, হত্যাকাণ্ড মামলায় হাইকোর্টের বিচারকদের রায়ের পর্যবেক্ষন অনুযায়ী পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মোটিভ উদ্ধার ও কুশীলবদের সনাক্ত কল্পে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন, হত্যাকাণ্ডে শাহাদত বরণকারী ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা দেয়া, ২৫ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে পিলখানা ট্র্যাজিডি দিবস হিসেবে ঘোষণা, হত্যাকাণ্ডের ঘটনা পরবর্তী তদন্ত/জিজ্ঞাসাবাদে নিরাপত্তা হেফাজতে যেসকল নিরীহ বিডিআর সদস্যদের নির্যাতনপূর্বক হত্যা করা হয়েছে তাদের তালিকা প্রকাশ করে মৃত সকল পদবীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ সহ পুনর্বাসন করা, তদন্ত/জিজ্ঞাসাবাদে নিযুক্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যারা নিরীহ নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের নির্যাতনপূর্বক হত্যা করেছে তাদেরকে সনাক্তপূর্বক বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা এবং বিশেষ আদালত কর্তৃক বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষকারী বিডিআর সদস্যরা যারা প্রহসনের বিস্ফোরক মামলায় দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত কারা অন্তরীন আছে তাদেরকে অনতিবিলম্বে জামিন ও মামলা থেকে অব্যাহতিপূর্বক মুক্ত করা।
যাযাদি/ এআর