নীলফামারীতে তিন শহিদের নামে হচ্ছে চত্বর
প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২০:০০
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে নীলফামারীর শহিদ তিনজনের নামে চত্বর করার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জুলাই-আগষ্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় এই ঘোষণা দেন তিনি।
সভায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লে.কর্ণেল এসএম খুররম জাহ মুরাদ, জেলা বিএনপির সভাপতি আ. খ. ম আলমগীর সরকার, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী আন্তাজুল ইসলাম ও সহকারী সেক্রেটারী আল ফারুক আব্দুল লতিফ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মোস্তফা মোহাম্মদ শ্রেষ্ঠ এবং গণঅভ্যুত্থানে পুলিশের গুলিতে আহত শিক্ষার্থী হাসান আলী বক্তব্য দেন।
স্মতি চারণ করতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন নীলফামারী সদরের রুবেল ইসলামের বাবা রফিকুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের নাঈম ইসলামের বাবা আনিসুর রহমান ও সৈয়দপুরের সাজ্জাদ হোসেনের বাবা আলমগীর হোসেন।
ছাত্র প্রতিনিধি মোস্তফা মোহাম্মদ শ্রেষ্ঠ বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বিনিময়ে আজকে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এজন্য হাজারো প্রাণ গেছে, রক্তের বিনিময়ে এই নতুন স্বাধীনতা এসেছে। তিনি বলেন, এখোনো ফ্যাসিবাদের দোসররা নানা ভাবে দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে। প্রয়োজনে আবারো আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ষড়যন্ত্র মোকাবেল করবো এবং তাদের সফল হতে দেবো না।
নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে সভার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। শেষে শহিদদের আত্মার শান্তি ও আহতদের সুস্থ্যতা কামনায় মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
মোনাজাত পরিচালনা করেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী আন্তাজুল ইসলাম।
যাযাদি/এসএস