ফেনীতে হত্যা মামলায় আসামী  প্রায় ৩০ হাজার, গ্রেফতার  দুইশোর  অধিক 

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৪৩

ফেনী প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

ফেনীতে গত ৪ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহত ১৩ জন আহত কয়েকশ,   এসব ঘটনায় ১৭টি মামলায় প্রায়  ৩০ হাজার জনকে আসামী করা হয়েছে। এপর্যন্ত দুইশতাদিক আসামীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। সুষ্ঠ বিচারের আশায়  আর্ন্তজাতিক ট্রাইবুন্যালে মামলা প্রেরনের দাবী জানিয়েছে নিহতের পরিবার পরিজনরা। 

ফেনীতে গত ৪ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নিহত ও আহতের ঘটনায় ১৭টি মামলায় প্রায় ২০ হাজার জনকে আসামী করা হয়েছে। এপর্যন্ত দুইশতাধিক আসামীকে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী। সুষ্ঠ বিচারের আশায় আর্ন্তজাতিক ট্রাইবুন্যালে মামলা প্রেরনের দাবী জানিয়েছে নিহতের পরিবার।  তারা গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে  এসব দাবি জানান । 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের অংশ হিসেবে ফেনীতেও জুলাই আগষ্টে হাজার হাজার ছাত্র জনতা আন্দোলনে অংশ নিয়েছিল। সবশেষ গত ৪ আগষ্ট ফেনীর মহিপালে ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে হেমলেট বাহিনী ভারী অস্ত্র দিয়ে অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষন শুরু করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে ফেনী  ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট  জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার  ছয়জনকে মৃত ঘোষনা করে। 

গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরবর্তীতে আরো দুইজন নিহত হয়। আহত হয় কয়েক শতাধিক ছাত্রজনতা। পিঠে গুলি ঢুকে ফুসফুসে আটকে এখনো যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে শিক্ষার্থী শাওন। এরপর ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর ফেনীর ট্রাংক রোড়ে বিজয় মিছিলে আবারো গুলি বর্ষন করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। গুলিবিদ্ধ হয় অর্ধশতাধিক ছাত্রজনতা ও পথচারী। শরীরে ও চোখে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারাক্তক আহত হয় ছাগলনাইয়া সরকারী কলেজের ছাত্র নাহিদুল ইসলাম। এসব ঘটনায় ১৭টি মামলায় প্রায়  ৩০ হাজার জনকে আসামী করা হয়েছে। সাবেক এমপি হাজী রহিম উল্লাহ সহ গ্রেফতার হয়েছে  দুইশতাধিক আসামী। প্রধান আসামী গ্রেফতার ও মামলার সুষ্ঠ বিচারের স্বার্থে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুল্যালের মাধ্যমে বিচার চান মামলার বাদী ও ভুক্তভোগী পরিবার।    

 ভুক্তভোগী পরিবার সহ এলাকার বাসিন্দারা জানান,  ৪ আগষ্ট ফেনীর মহিপালে ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে  গুলিতে নিহত ও আহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ফেনী জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা। তবে নিরাপরাধ আসামীদের যাচাই বাচাই শেষে মুক্তি দেওয়া হবে এবং মামলায় প্রকৃত আসামীদের নাম সংযুক্ত করার কথা জানান ফেনীর  পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান। 

ফেনী  মডেল থানায় ওসি  মর্ম সিংহ  ত্রিপুরা,  জানান,  তিনি  ও সঠিক তদন্তে  মাধ্যমে  অপরাধিদের বিরুদ্ধে  আইনগত ব্যবস্থা  নেয়া হবে।  বাদী পক্ষের আইনজীবী  এডভোকেট  মেসবাহউদ্দিন  ভঁইয়া বলেন,  ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ও আহতদের দায়ের করা মামলা গুলোতে ন্যায় বিচার পাবেন বলে, আশাবাদী বাদী পক্ষের এ আইনজীবি।

ফেনীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান ও তাদের নামে স্মৃতিফলক স্থাপন বিভিন্ন স্থাপনা তাদের নামে  স্মৃতি রক্ষায়, আর্থিক অনুদান প্রদানের জন্য দাবি জানায়  পরিবারের  সদস্যরা ও ভুক্তভোগীরা। 

যাযাদি/ এম