রামগতিতে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা

প্রকাশ | ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:৫৭

রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদদের স্মরণে এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে স্মরণ সভার ও দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। 

উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আমজাদ হোসেন, উপজেলা পরিষদ সম্মেলন হলরুমে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম আবদুল্লাহ বিন শফিক, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর এআর হাফিজ উল্লাহ, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জামাল উদ্দিন, উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুর রহিম, উপজেলা জেএসডি সভাপতি মো. গিয়াসউদ্দিন, পৌরসভা বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র সাহেদ আলী পটু, উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. সিরাজ উদ্দিন, রামগতি থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কার্তিক চন্দ্র বিকাশ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মাসুদ জাহান, প্রেসক্লাব সভাপতি রেজাউল হক, প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, ছাত্র সমন্বয়ক ছাত্র প্রতিনিগন এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে আহত এবং শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ। 

গনঅভ্যুত্থানে রামগতি উপজেলা দুই জন শহীদ হয়েছেন তারা একজন আলেকজান্ডার ইউনিয়নের আবদুল হাইয়ের ছেলে শাহাদাত হোসেন শামিম, সে ঢাকায় মারা যায়, অপর জন হচ্ছে দক্ষিণ টুমচর গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে মোঃ সবুজ সে ফেনী শহরে মারা যায়। এছাড়া সরকারি তালিকা অনুযায়ী ৯ জন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং অনেকে এখনো চিকিৎসাধীন আছেন আহতরা হচ্ছেন চর রমিজ গ্রামের আবদুল হাফেজের ছেলে মোঃ লতিফ জামাল, চর আবদুল্লাহর মোঃ মোস্তফার ছেলে জসিম উদ্দিন, চর রমিজ গ্রামের মোছলেহ উদ্দিনের ছেলে নাইমুর রহমান, চর পোড়াগাছার সাহাব উদ্দিনের ছেলে মোঃ ইয়ামিন, বড়খেরীর জমির উদ্দিন রাশেদের ছেলে রহিম উদ্দিন পন্নি, আলেকজান্ডারের আবুল কালামের  ছেলে আবদুর রহমান, চর পোড়াগাছার নুর সোলাইমানের ছেলে মাহবুবুর রহমান, আলেকজান্ডারের জমির উদ্দিনের ছেলে জাফর আহমদ সজীব, চরপোড়াগাছার আবদুল মালেকের ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন, এছাড়াও আরো অনেকে আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন যাদের নাম তালিকায় স্থান হয়নি। 

দোয়া পূর্ব সভায় বক্তব্য রাখেন আহত জাফর আহমদ সজীব তিনি বলেন সে নোয়াখালী প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র কোটা সহ নানা বৈষম্য দেশ যখন মেধার গুরুত্ব হারিয়ে গেছে তখন হতাশা থেকে আন্দোলন অংশ নেওয়ার ইচ্ছা হয় ওই আন্দোলনে তার চোখের ক্ষতি সাধন হয় পরে নানা প্রতিকুলতার মধ্যে চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন এখনোও চোখে ঝাপসা দেখেন। তিনি আরো বলেন যে বৈষম্য শিকার হয়েছি তা যেন সমাজ ও রাস্ট্র থেকে দূরীভূত হয়। প্রতিত স্বৈরাচারের ন্যায় আর কোন স্বৈরাচারের জন্ম না হয়।

শহীদ শাহাদাত হোসেন শামিমের পিতা আবদুল হাই বলেন তিনি নিরীহ ও দরিদ্র মানুষ তার ছেলে দেশের জন্য শহীদ হয়েছে এতে আমি গর্ববোধ করি তবে তার ছেলে রক্ত যেন বিফলে না যায়। দেশের জন্য মেনে নিলাম। 

সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দ আমজাদ হোসেন বলেন আজকের শহীদ এবং আহত পরিবারের নিয়ে স্মরণ সভা ও দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পেরে  ধন্য হলাম, ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থান শহীদ এবং আহত পরিবারের অভিব্যাক্তি শুনে মর্মাহত। তাদের ত্যাগ বিফলে যাবে না। 

যাযাদি/ এসএম