নিহতদের জীবনে বিনিময়ে একটি নতুন বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। তাই ছাত্র জনতার আন্দোলনে নিহতের পরিবারের খোঁজখবর নিতে আসা। কোন আনুষ্ঠানিক সফর নয়, নিজের বিবেকের তাগিদে শহীদের মায়ের খোঁজ খবর নিতে এসেছি।
এ সময় বাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক কবরস্থানে নিহত মিঠুর কবর জিয়ারত করেন তার আত্মার শান্তি কামনা করা হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মিঠুর বৃদ্ধ মাকে শান্তনা দেন এই কর্মকর্তা। তার সাথে কথা বলে সকল ধরণের সহযোগীতার আশ্বাস দেন।বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, আন্দোলনের সময় সারা বাংলাদেশে নিহত ও আহত পরিবারের পূর্নবাসনের লক্ষ্যে জুলাই ফাউন্ডেশন গঠন করা হয়েছে। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে সরকার নিহত ও আহতদের তালিকা অনুযায়ী সহযোগিতা করছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান মোল্লা, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক চৌধুরী রওশন ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) ইয়াছিন কবিরসহ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া স্থানীয় ছাত্ররা ও জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা বৃন্দ।
গত ১৯শে জুলাই ঢাকার বশ্রীতে ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে জান শরীফ মিঠু (৪৫) নিহত হয়।
বাবা মারা যাবার পর দুই ভাই বোনের মধ্যে নিহত মিঠু ছিল একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যাক্তি। স্বামী ও সন্তান হারানোর পর নিহত মিঠুর মা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়ে।
বৈষম বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় জেলার ৭ জন নিহত হয়। যাদের বাড়ি ফরিদপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। ৫ আগস্ট ফরিদপুর শহরে থানার মোড় এলাকায় পুলিশের গুলিতে একজন নিহত হয়। এছাড়া ফরিদপুরে ৯৪ জন আহত তালিকা তৈরি করা হয়েছে।
যাযাদি/ এস