নোয়াখালীতে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায় বন্ধে জেলা প্রশাসককে (ডিসি) এক আইনজীবীর লিগ্যাল নোটিশের পর বাস কাউন্টারে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে জেল জরিমানা করা হয়েছে।
এ সময় নোয়াখালী-ঢাকা রুটে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায়ের দায়ে নীলাচল, হিমাচল ও একুশে পরিবহন নামে তিনটি বাস কিাউন্টারের ম্যানেজারদের ৭ দিন করে জেল এবং ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। একই সাথে ভবিষ্যতে একই অপরাধ করলে আরো বড় ধরণের সাজা দেওয়া হবে বলে হুশিয়ার করে দেওয়া হয়।
অভিযানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: কাউসার মিয়া, বিআরটিএ, নোয়াখালীর মরটযান পরিদর্শক মাহবুব রব্বানী এবং লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো আইনজীবী মুহাম্মদ শামছুল ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর নোয়াখালী জেলা জজ আদালাতের আইনজীবী মুহাম্মদ শামছুল ফারুক নোয়াখালী-ঢাকা রুটে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায় বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা এবং বাস মালিক মালিকদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
জেলা প্রশাসক ছাড়াও জেলা পুলিশ সুপার, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, বিআরটিএ, নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক, হিমাচল পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, লাল সবুজ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং একুশে পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শামছুল ফারুকের দাবি, ‘নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব ১৬২ কিলোমিটার। দূরত্ব অনুযায়ী এ রুটে বিআরটিএ নির্ধারিত বাস ভাড়া ৪৪৯ টাকা। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে বাস মালিকরা আদায় করে ৫০০ টাকা। অতিরিক্ত ৫০ টাকা ভাড়া আদায় সম্পুর্ণরূপে বেআইনী এবং অন্যায় হলেও এ বিষয়ে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।’
তিনি বলেন, ‘প্রতিদিন নোয়াখালী-ঢাকা রুটে ১০ হাজারের অধিক যাত্রী পরিবহন করেন। তাদের কাছ থেকে প্রতিদিন অতিরিক্ত ৫ লাখ টাকা, মাসে দেড় কোটি টাকা এবং বছরে ১৮ কোটি টাকার মতো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে পরিবহন মালিকরা। কিন্তু এ বিষয়ে অতীতে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক নেতৃবৃন্দ বা প্রশাসন কোন ব্যবস্থাই নেয়নি এবং নিতেও চায় না। পরিবহন কর্তৃপক্ষের কাছে মনে হয় যেন উনারা জিম্মি হয়ে আছেন এবং নতুন কোন পরিবহনও আমাদের এখানে আসতে পারতেছেনা দীর্ঘদিন যাবত। এ বিষয়ে প্রতিকারের জন্যই আমার এ আইনী নোটিশ।
যাযাদি/এসএস